বর্ধমান, 7ফেব্রুয়ারি : টিউশন পড়তে গিয়ে শিক্ষকের কাছে অশালীন ব্যবহার পেয়েছিল ছাত্রীটি ৷ লজ্জায় বিষয়টি প্রথমে কাউকে বলতে পারেনি । পরে এক বন্ধুর পরামর্শে বাড়ি ফিরে মাকে ঘটনার কথা বলেছিল সে । এদিকে বিষয়টি ওই নাবালিকা ছাত্রীর বাবার কানে যেতেই বিপত্তি ৷ তার বাবা কোন কিছু না বলে বিয়ের ব্যবস্থা করতে শুরু করেন । এদিকে ছাত্রীটি বুদ্ধি করে চাইল্ড লাইনে ফোন করে ৷ জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনার কথা জানায় । বিয়ের দিন পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে এসে বিয়ে বন্ধ করে দেয় চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা । আলো- নামে একটি পথনাটিকার মাধ্যমে তুলে ধরা হয় এই ঘটনাটি ।
বর্ধমান জেলায় বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন রোধে পথনাটিকা - উত্তরা বিশ্বাস
বর্ধমান জেলায় বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন নির্মূল করতে আয়োজিত হল পথনাটিকা ৷ নেহরু যুবকেন্দ্র, UNICEF ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ধমান স্টেশন চত্বরে বাল্যবিবাহ রোধ ও শিশু নিগ্রহ রোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সেই বার্তা দিতেই এই পথনাটিকা ।
নেহরু যুবকেন্দ্র, UNICEF ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ধমান স্টেশন চত্বরে বাল্যবিবাহ রোধ ও শিশুনিগ্রহ রোধে কী ব্যবস্থা নেয়া উচিত সেই বার্তা দিতে এই পথনাটিকা । যা দেখতে বর্ধমান স্টেশন চত্বরে মানুষের উৎসাহ ছিল দেখার মতো । নেহরু যুব কেন্দ্র ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর উত্তরা বিশ্বাস বলেন, বাড়িতে গিয়ে কিংবা স্কুলে টিউশন পড়তে গিয়ে ছাত্রীরা নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হয় । যেটা তারা কাউকে বলতে পারেনা । শুধু তাই নয় নাবালিকাদের জোর করে বিয়ে দেওয়ার ফল কী হতে পারে সবকিছুই এই পথনাটিকার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ।