বর্ধমান, 7 মার্চ : পৌরসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন বর্ধমান শহরের 27 নং ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হন দলের কর্মী তুহিনা খাতুন নামে এক তরুণী, এমনটাই অভিযোগ তাঁর পরিবারের । অভিযোগের আঙুল তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে । ঘটনার পর 5 দিন কেটে গেলেও আজও অধরা মূল অভিযুক্ত । মৃতার পরিবারের অভিযোগ, প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিযুক্ত জয়ী তৃণমূল প্রার্থী । অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপও দেওয়া হচ্ছে তাঁদের । পরিবারের তরফে জানানো হয়, ''দেহ যখন বাড়িতে ছিল, তখনও আমাদের মেরেছে ।''
সোমবার তুহিনা খাতুনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী । তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন (Adhir Chowdhury reacts on Burdwan Suicide Case) । পাশাপাশি পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, "এখানে রাজনীতি করতে আসেননি । তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন । আজ পরিবারটি আতঙ্কে দিশেহারা । তাঁরা জানেন না তাঁদের ভবিষ্যৎ কী ৷ আমাদের ঘরের মেয়ে তুহিনা খাতুন, যাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা লাগাতার সম্ভ্রমহানি, বেইজ্জত, দৈহিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়েছিল । তার কারণেই তরুণী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন । যখন তাঁর দেহ ঘরে ঝুলছিল সেই সময়ও তাঁর ঘরে ঢুকে তাঁর আরও দুই বোনের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে । এরকম ঘটনা কোনও দিন শুনেছি কি আমরা ?"