কুলটি, 20 অক্টোবর: ষষ্ঠীতেই মর্মান্তিক ঘটনা কুলটির বরাকরে। একই পরিবারের বাবা, মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল কুলটি থানার পুলিশ। বরাকরের নালি পাড়ায় একটি বাড়ির ভিতরে তিনটি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তিনজনের নাম সুদীপ্ত রায় (66), শ্বেতা রায় (53) ও অগ্নিশংকর রায় (29)। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণেই ওই তিনজন আত্মহত্যা করেছে। শনিবার এই তিনজনের দেহ ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।
কুলটি থানার পুলিশ জানিয়েছে, বরাকরের নালি পাড়ায় প্রতিবেশীরাই শুক্রবার বিকেলে পুলিশকে খবর দেয়। বহুক্ষণ কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ার জেরে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় তারা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এরপর পুলিশ দরজা ভেঙে তিনজনকেই ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পুলিশ ওই বাড়ি থেকে তিনটি সুইসাইড নোটও চিঠি উদ্ধার করেছে। তাতে অবশ্য এই আত্মহত্যার জন্য কাউকে দায়ী করে কোনও কিছু লেখা ছিল না।
তবে সেগুলোতে ঠিক কী লেখা আছে তা নিয়ে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে অন্য একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এই তিনজন তাদের মৃত্যুর জন্য প্রত্যক্ষভাবে কাউকে দায়ী করেননি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ রায় দম্পতির ছেলে অগ্নিশংকর রায় প্রাইভেট টিউশন পড়াতেন। বরাকরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে নাকি বেশ কিছু টাকা ঋণ নিয়েছিল ব্যবসা করার জন্য। কিন্তু সেই ব্যবসা আর হয়ে ওঠেনি। ফলে সেই ঋণ শোধ করে উঠতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: ফাঁসিদেওয়ায় ফাঁকা বাড়িতে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন, প্রতিবেশী যুবক গ্রেফতার
সেই কারণে ব্যাংকের পক্ষ থেকে বারবার তাদের চাপ দেয়া হচ্ছিল ৷ পুলিশের অনুমান সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই পরিবারে সবাই মিলে আত্মঘাতী হয়েছে ষষ্ঠীর দিন ৷ এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় বরাকর অঞ্চলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনটি দেহ উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। শনিবার ময়নাতদন্ত করা হবে এই তিনটি দেহের। পুলিশ এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।