মেদিনীপুর, 22 জুন : দাঁতনে BJP কর্মী পবন জানার মৃতদেহ নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি ব়্যালিতে অংশ নেন BJP-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু-সহ অনেকেই ৷ সেখানে BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শ্রদ্ধা জানান ৷ বক্তব্য রাখেন ৷ সেখানে উপস্থিত হয়ে সামাজিক দূরত্ব না মানায় দিলীপ ঘোষ, BJP-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, BJP জেলা সভাপতি সমিত দাস-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করল পুলিশ ৷ সমিত দাস বলেন, "এই কোরোনা সংক্রমণের নিয়মের আগেই তৃণমূল কর্মী এমন কী, জেলাশাসক, SPO মানেননি ৷ এই নিয়ম তাঁরাও ভেঙেছেন, তাই সবার বিরুদ্ধেও মামলা করা হোক ৷"
শনিবার দাঁতনের কুসুমি গ্রামে নিহত পবন জানার দেহ নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি যাত্রা করে BJP জেলা নেতৃত্ব ৷ এই যাত্রায় অংশগ্রহণ করেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, জেলা সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত ৷ মেদিনীপুর শহরে সিপাই বাজারে BJP সদর দপ্তরে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় ৷ তারপর সেই যাত্রা এসে পৌঁছায় দাঁতনে ৷ সেকান থেকে তাঁর গ্রামে পৌঁছনো মাত্র এই র্যালিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন BJP-র দুই-তিন হাজার কর্মী ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে সেখানেই পবন জানার পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেন BJP রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । পুলিশের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন সায়ন্তন বসু । এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে পুলিশ গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন BJP কর্মীরা । কারণ তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে এবং দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে । ঘটনার পরই সায়ন্তন বসু কর্মীদের সংযত হতে বলেন ৷ বলেন, "ছ'মাস পরই আমরা ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব ৷ এই পুলিশ যদি আবার এই ধরনের ঘটনা ঘটায় তাহলে থানা জ্বালিয়ে দেওয়া হবে ।" ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাঁতন থানার পুলিশ সায়ন্তন বসু-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে ।
BJP কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হলে তৃণমূলের বিরুদ্ধেও মামলা হওয়া উচিত, বললেন সমিত দাস এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরে BJP-র এই জমায়েতের জন্য কোতয়ালি পুলিশ BJP-র জেলা সভাপতি-সহ পাঁচজন কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করল । এ বিষয়ে সমিত দাস বলেন,"যেভাবে কোরোনার লাশ পাচার করছে পুলিশ সেভাবেই এই লাশ পাচার করত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ । আমরা তা করতে দিইনি । আমরা আমাদের কর্মীর মরদেহ নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি যাত্রা করেছি । তাতে যাঁরা শ্রদ্ধা জানানোর জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁদের আমরা জোর করে উপস্থিত থাকতে বলিনি । আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে ৷ এদিকে, তৃণমূল সাংসদ দেব এসে একসঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করে ৷ তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা বিভিন্ন সভা-সমিতি করে ৷ এমন কী, পুলিশ সুপার নিজেও কোরোনার আইন ভেঙে জমায়েত করেছেন । জমায়েত করেছেন মেদিনীপুরের জেলাশাসকও ৷ তাই তাঁদের বিরুদ্ধেও মামলা হওয়া উচিত । আমরা যদি দোষী হই তাঁরাও দোষী । তাই শাস্তি তাদেরও হওয়া উচিত । জেলে তাঁদেরও যাওয়া উচিত ।"