আসানসোল, 1 মার্চ: ঢাকঢোল পিটিয়ে শিল্প সম্মেলন হচ্ছে আসানসোলে ৷ রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা থেকে শুরু করে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার আরও এক সদস্য মলয় ঘটক পর্যন্ত দাবি করেছেন, শিল্প স্থাপনে কোথাও কোনও বাধা দেওয়া হবে না ৷ সমস্ত সরকারি সুযোগসুবিধা মিলবে ৷ কোনও ক্ষমতাশালীকে এক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ করতে দেওয়া হবে না ৷ তেমন কোনও ঘটনা ঘটলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে ৷ কিন্তু, বাস্তবে নাকি ঘটছে উলটো ঘটনা ! অন্তত এমনটাই অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল পৌরনিগমের 52 নম্বর ওয়ার্ডে ৷ কাঠগড়ায় এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর এবং তাঁর 'প্রভাবশালী' বাবা !
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানকার সাতাইশা এলাকায় একটি সিমেন্ট কারখানা তৈরি হচ্ছে ৷ কিন্তু, সেই নির্মাণকাজ বলপূর্বক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের নেতা তথা স্থানীয় কাউন্সিলর সঞ্জয় নোনিয়া এবং তাঁর বাবা রোহিত নোনিয়ার বিরুদ্ধে ৷ রোহিত এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা ৷ আগে তিনিও কাউন্সিলর ছিলেন ৷
আরও পড়ুন:তৃণমূল নেতা-গুন্ডা-মস্তানকে 'চেলা কাঠ-জুতো দিয়ে পিটিয়ে লাল করে দিন', নিদান বিজেপি বিধায়কের
আসানসোলের শিল্পপতি পবন গুটগুটিয়া সরাসরি অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় নোনিয়া ও তাঁর বাবা রোহিত নোনিয়া নিজেদের অনুগামী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশকে নিয়ে কারখানার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ৷ পবনের দাবি, তাঁর 100 জন শ্রমিককে মারধর করে প্রকল্প এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয় ৷ যদিও অভিযুক্ত কাউন্সিলর ও তাঁর বাবা পালটা শিল্পপতির ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন ৷ তাঁদের দাবি, কৃষিজমি দখল করেছেন ওই শিল্পপতি ! তাছাড়া, কারাখানার কাজে স্থানীয় বাসিন্দাদের সুযোগ না দিয়ে বাইরে থেকে শ্রমিক আনা হয়েছে ৷ সেই কারণেই নাকি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা কারখানার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন !
প্রসঙ্গত, গত কয়েকমাস ধরেই সাতাইশা এলাকায় এই সিমেন্ট কারখানাটি তৈরি হচ্ছে ৷ পবন গুটগুটিয়ার দাবি, শিল্পের জন্য জমি কিনে কারখানা তৈরি করছেন তিনি ৷ এই কাজে ভিনরাজ্যের এক ব্যক্তি বিনিয়োগ করেছেন ৷ কিন্তু, সেই উদ্যোগ কার্যত ভেস্তে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ পবন বলেন, "রীতিমতো গুন্ডাগিরি করা হচ্ছে ৷ যেখানে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পের পক্ষে কথা বলছেন, সেখানে এইসব হচ্ছে কীভাবে ! কর্মদিবস নষ্ট করা হচ্ছে ৷ আমার শ্রমিকদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে ৷ এভাবে কেন কাজ বন্ধ করা হবে ? এই সবকিছুর জন্য দায়ী রোহিত নোনিয়া ও কাউন্সিলর সঞ্জয় নোনিয়া ৷"