দুর্গাপুর, 14 নভেম্বর: করোনা পরিস্থিতির পর থেকে রাজ্যে বিভিন্ন রাসায়নিক সারের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে । তার মধ্যে সবজি এবং ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম এনপিকে দশ ছাব্বিশ ছাব্বিশ রাসায়নিক সার আচমকায় বাজারে অমিল হয়ে যায় । এই রাসায়নিক সার না মেলায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা(Due to Fertilizer Crisis in Market Farmers are in Trouble)। এই পরিস্থিতিতে আলু, ধান ও সবজি চাষের মরশুমে সংকটের মুখে পড়েছে কাঁকসা এবং দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের চাষিরা(Fertilizer Crisis in Paschim Bardhaman)।
অন্যদিকে ধানেও উৎপাদন বৃদ্ধি করে এই রাসায়নিক সার । ধানের মরশুমেও এই সার বাজারে অমিল ছিল । যার জেরে বিভিন্ন রোগের প্রকোপে ফলন কমেছে । বিকল্প সার প্রয়োগ করতে গিয়ে বহু টাকা ব্যয় হলেও আশানুরূপ বৃদ্ধি হচ্ছে না ফলনের ৷ তার ফলেই চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা ৷
আরও পড়ুন :পানাগড়ে ম্যাটিক্স সার কারখানার ইউনিট শাটডাউন, শ্রমিকদের বিক্ষোভ
এই বিষয়ে সার ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বাজারে আসছে না চাষের কাজে অতি গুরুত্বপূর্ণ এনপিকে দশ ছাব্বিশ ছাব্বিশ রাসায়নিক সার । নবরত্ন, পটাশ, গ্রোমোর সারও চড়া দামে কিনতে হচ্ছে । যার ফলে ক্ষুদ্র সার ব্যবসায়ী এবং চাষিরা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না ৷ বৃহৎ ব্যবসায়ীরা কিছু সার মজুত রেখে চড়া দামে তা বাজারে বিক্রি করছে ।
বাজারে মিলছে না এনপিকে সার ফলন কমার আশঙ্কায় পশ্চিম বর্ধমানের চাষিরা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের কথায়, "রাসায়নিক সারের উৎপাদন কমিয়ে, কালোবাজারিতে সহায়তা করছে কেন্দ্র । আর যার জন্য দুর্নীতিতে সর্বত্র ক্ষতির মুখে পড়ছে কৃষকরা । উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় দশ ছাব্বিশ ছাব্বিশ রাসায়নিক সারের উৎপাদন কমিয়ে বৃহৎ ব্যবসায়ীদের কালোবাজারি করতে সহায়তা করা হচ্ছে । যদিও কৃষি দফতর এবং রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা এর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে ।"
তবে মন্ত্রীর এহেন কথা মানতে নারাজ বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন,"প্রতিটি রাজ্য় সার পাচ্ছে আর অসুবিধা কেবল পশ্চিমবঙ্গে ৷ কালোবাজারিতে ছেয়ে গিয়েছে রাজ্য ৷ কেন্দ্রের যদি কোনও ত্রুটি থাকে তবে চিঠি দিক রাজ্য, আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলব সেই বিষয়ে ৷"
আরও পড়ুন :রেলমন্ত্রকের অসহযোগিতাতেই দাম বাড়ছে সারের, নবান্নে জানালেন ডিলাররা