দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ বিজেপির দুর্গাপুর, 29 ডিসেম্বর:কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও উঠল 'আমরা ওরা' বিভাজনের অভিযোগ । এবার কেন্দ্রীয় সংস্থা দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন বা ডিটিপিএস কারখানার সম্প্রসারণ ঘিরে সামনে এল এমনই অভিযোগ। ভিলেজ কমিটি নামে একটি গ্রুপ রয়েছে এই সংস্থায় ৷ সেখানে প্রায় 80 জন অস্থায়ী কর্মী কাজ করছেন ৷ অভিযোগ তৃণমূলের লোকজনকে এই ভিলেজ কমিটির নামে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানায় ৷ আর মাত্র 19 জন বিজেপি কর্মীর নামের তালিকা দেওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তাঁদেরকে কাজ দিচ্ছে না । এবার সেই নিয়েই কারখানা সামনে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের ৷
বেশ কয়েক মাস ধরে এই কেন্দ্রীয় সংস্থায় নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএমএস(ভারতীয় মজদুর সংঘ) ও বিজেপি ৷ এই কেন্দ্রীয় সংস্থার সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে ৷ কেন্দ্র টাকা বরাদ্দ করাতে বন্ধ হতে বসা এই কারখানা ফের অক্সিজেন পায় ৷ কারখানা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয় ৷ সেখানেই এবার কর্মী নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিল ।
কেন্দ্রের কাছে টাকা বরাদ্দ করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের সাংসদ সুরিন্দরজিৎ সিং আলুওয়ালিয়া এবং দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই ৷ বিজেপি কর্মীদের দাবি, কারখানা বন্ধ হতে বসেছিল ৷ কিন্তু টাকা বরাদ্দ হতে না হতেই সেখানে তৃণমূল নিজের প্রভাব খাটানো শুরু করেছে ৷ সেই কারণেই আগে কারখানায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র বিজেপি কর্মী বলে তাঁদের কাজে ফেরানো হচ্ছে না ৷
তাঁদের আরও দাবি, বিজেপি-বিএমএস কর্মীদের নিয়োগ না-করা হলে তাঁরা প্রতিদিন গেটের সামনে এই আন্দোলনে সামিল হবেন ৷ তাতে যদি কারখানার কাজ ব্যাহত হয় তার দায় কর্তৃপক্ষ পুলিশ ও প্রশাসনের । শুক্রবারও এভাবেই কারখানার সামনে বিক্ষোভে সামিল হন ৷ বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা কোনও কর্মীদের ভিতরে ঢুকতে দেননি ৷
যদিও বিজেপির এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ দলের নেতা রাজু বুট বলেন, "কোনও বঞ্চনা নেই এই ঘটনায় । আগে ছাঁটাই হওয়া 400 কর্মী কাজ পায়নি । প্রথম পর্বে মাত্র 80 জন কাজ করছে । কর্মীদের রাজনৈতিক রং হয়না । তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে যাঁরা দশ মাস ধরে কারখানা গেটের সামনে বসেছিলেন, অনাহারে দিন কাটাচ্ছিলেন ৷ সেই মুহূর্তে কেউ তাঁদের পাশে দাঁড়ায়নি ৷ ছাঁটাই হওয়া প্রত্যেক শ্রমিকের প্রতি আমাদের পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে ৷"
তিনি এও জানান যাঁরা কারখানার গেটে আসেননি, কোনও যোগাযোগ রাখেননি তাঁদের বাড়িতে নিয়োগপত্র পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয় ৷ কারখানা কর্তৃপক্ষ ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চায়নি । অন্যদিকে আগামিকাল থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরুর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বিজেপি নেতৃত্ব। কারখানা গেট চত্বরে অশান্তি এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়ন ছিল। কর্তৃপক্ষের আশ্বাস মেলার পর আজকের দিনের মতো আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয় ৷
আরও পড়ুন:
- কলেজের প্যাডে লেখা প্রেমপত্র ! ভাইরাল হতেই হইচই গুসকরা মহাবিদ্যালয়ে ; কী বললেন অধ্যক্ষ
- বর্ধমান মেডিক্যালে আহতদের দেখতে গিয়ে শিশুর পড়াশোনার খরচ নিজের হাতে তুলে নিলেন রাজ্যপাল
- কোলিয়ারির 250 মিলিয়ন বছরের পুরনো জীবাশ্ম সংগৃহিত কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে