কৃষ্ণগঞ্জ (নদিয়া), 24 মার্চ: দরজা আটকে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে স্ত্রী ও মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা তৃণমূল নেতার ! নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের রাধাগোবিন্দ পাড়ার ঘটনা এমনই অভিযোগ তৃণমূল নেতা পিন্টু সেনের বিরুদ্ধে (TMC Leader Tries to Burn Alive Wife and Daughter) ৷ এমনকি পিন্টু সেনের ভয়ে কেউ বাড়ির আগুন নেভাতে এগিয়ে আসেননি ৷ কোনও মতে বন্ধ দরজা খুলে প্রাণে বেঁচেছেন সোমা সেন এবং তাঁর একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ে ৷ অন্যদিকে, তাঁরা পালিয়ে যেতেই পিন্টু রাতভর গ্রামে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ ৷
জানা গিয়েছে, রাধা গোবিন্দ এলাকার বাসিন্দা পিন্টু সেন এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত ৷ সূত্রের খবর শাসকদলের কথা বলে এলাকার মানুষদের বিভিন্ন বিষয়ে হুমকি দেখান তিনি ৷ শুধু এলাকার মানুষ নয়, মদ্যপ অবস্থায় এসে নিজের স্ত্রী ও মেয়ের উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করতেন তিনি ৷ গতকাল রাতেও মদ্যপ অবস্থায় এসে স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন ৷ এরপর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেযন পিন্টু ৷ কোনরকমে দরজা খুলে পালিয়ে যান তাঁর স্ত্রী সোমা এবং মেয়ে ৷ দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে বাড়িতে।
এরপর শুরু হয় স্ত্রী ও কন্যার খোঁজে তল্লাশি ৷ অভিযোগ, সারা গ্রাম পিন্টু সেন দাপিয়ে বেড়ায় রাতভর ৷ এমনকি তাঁর ভয়ে ওই বাড়িতে কেউ আগুন নেভানোর চেষ্টা করেননি ৷ তবে, কোনও রকম ভাবে গ্রামবাসীদের সাহায্যে সোমাদেবী এবং তাঁর মেয়ে প্রাণে বেঁচে যান ৷ পরিবারের দাবি এই প্রথম নয়, বিয়ের পর থেকেই পিন্টু সোমার উপরে অত্যাচার চালাতেন ৷