বহরমপুর, 19 নভেম্বর: অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এগিয়ে এসেছেন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) ৷ সূত্রের খবর, অভিনেত্রীর চিকিৎসার খরচ নিজের কাঁধে তুলে নিতে চান তিনি ৷ ইতিমধ্যেই সেই খবর ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ৷ আর তাতেই নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন ঐন্দ্রিলার চেনা সেইসব মানুষ, যাঁরা খুব কাছ দেখেছেন তাঁদের এই 'ফাইটার'কে ৷
বলিউড দাপিয়ে বেড়ানো অরিজিৎ সিং আদতে আমাদের এই বাংলারই ছেলে ৷ তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জিয়াগঞ্জে ৷ শুধু শিল্পী হিসাবে নন, মানুষ অরিজিৎও বরাবরই আমজনতার ভীষণ প্রিয় ৷ অরিজিতের অমায়িক আচরণ এবং যেকোনও বিষয়ে অন্যের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতাই তাঁকে এত জনপ্রিয় করে তুলেছে ৷ ঐন্দ্রিলার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে চলেছে বলে দাবি সূত্রের ৷ প্রসঙ্গত, ঐন্দ্রিলারও ছোটবেলা কেটেছে মুর্শিদাবাদ জেলাতেই ৷
আরও পড়ুন:ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার খরচ নিয়ে লেখালিখি বন্ধ করার অনুরোধ সব্যসাচীর
ঐন্দ্রিলা ভর্তি রয়েছেন হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৷ সম্পূর্ণভাবে 'লাইফ সাপোর্ট'-এর নির্ভর করে বেঁচে রয়েছেন তিনি ৷ শোনা যাচ্ছে, এবার তাঁর চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাহায্য নেওয়া হবে ৷ আর সেই বিষয়েই সাহায্য করবেন অরিজিৎ ৷ শিল্পীর এমন আচরণ মুগ্ধ করেছে বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থের বাসিন্দা সুমি কর্মকারকে ৷ কারণ, সুমি ব্যক্তিগতভাবে ঐন্দ্রিলাকে চেনেন ৷ তাঁরা দু'জন একই শিক্ষাগুরুর কাছে নাচের তালিম নিয়েছিলেন ৷ অরিজিতের সিদ্ধান্তের কথা জানার পর সুমি বলেন, "এই মুহূর্তে আমাদের কাছে এর থেকে ভালো খবর আর কিছু হতে পারে না ৷ অরিজিৎদা ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছেন ৷ এতে আমরা খুশি ৷ আমাদের আশা, ঐন্দ্রিলা নিশ্চয় সুস্থ হয়ে উঠবে ৷"
ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার খবর পাওয়ার দিন থেকেই প্রিয় ছাত্রীর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন তাঁর নাচের গুরু অভিজ্ঞান ভট্টাচার্য্য ৷ একদিন তাঁর হাত ধরেই নাচের বোলে পা মেলাতে শিখেছিলেন ঐন্দ্রিলা ৷ অরিজিতের প্রসঙ্গ উঠতেই কেঁদে ফেলেন অভিজ্ঞান ৷ বলেন, "ঈশ্বরের কাছে আমরা প্রার্থনা করে চলেছি ৷ ঈশ্বরই অরিজিৎকে তাঁর দূত হিসাবে পাঠিয়ে দিয়েছেন ৷ এই দেবদূতের হাত ধরেই হয়তো ঐন্দ্রিলা ফের একবার যুদ্ধ জয় করে ফিরে আসবে ৷"
প্রসঙ্গত, বহরমপুরের (Berhampore) ইন্দ্রপ্রস্থের লিপিকা বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা ৷ এই স্কুলের সামনেই দোকান রয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী সুবোধ হালদারের ৷ তিনি বলেন, "স্কুল ছুটির পর রোজ আমার দোকানে আসত ঐন্দ্রিলা ৷ কিছু না কিছু কিনে তবেই বাড়ি ফিরত ৷ তখন জানতাম না এই মেয়েই একদিন বহরমপুরের অহঙ্কার হয়ে উঠবে ৷ ওর অসুস্থতার খবরে আমরা মুষড়ে পড়েছিলাম ৷ তবে, মুর্শিদাবাদেরই আর এক খ্যাতনামা শিল্পী আজ ঐন্দ্রিলার পাশে ৷ আশা করি, এবার সবকিছু ভালো হবে ৷" সুবোধের মতোই আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন ঐন্দ্রিলার আর এক নৃত্যগুরু সিদ্ধার্থ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অঙ্কন শিক্ষক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী এবং কোরিয়োগ্রাফার স্যান্ডি রাম ৷