মালদা, ২৯ জানুয়ারি: ৪০ বছর ধরে একাধিক দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর ও রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন মালদা জেলার মহিলা স্বাস্থ্য সহকারী ও সুপারভাইজাররা৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের দাবিগুলি নিয়ে দপ্তর কিংবা সরকার কোনও চিন্তাভাবনা করেনি বলে অভিযোগ৷ তারই প্রতিবাদে নিজেরা করোনার টিকা নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ তবে টিকাকরণের কাজে তাঁরা নিজেদের সরিয়ে রাখেননি৷ নিজেদের কাজ করে যাচ্ছেন৷ এ নিয়ে শুক্রবার পুরাতন মালদার মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন এই কর্মীরা৷
জয়েন্ট ফোরাম অনুমোদিত ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট (ফিমেল) অ্য়ান্ড সুপারভাইজার (ফিমেল)’-এর জেলা সম্পাদক অসীমা পাল জানান, “দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমরা নিজেদের পে স্কেল পরিবর্তন, নার্সিং ক্যাডার গ্রেডেশন, প্রমোশন ও কেরিয়ার পাথের দাবিতে স্বাস্থ্য দপ্তর ও রাজ্য সরকারকে আবেদন করে আসছি৷ কিন্তু আমাদের কোনও দাবি মানা হচ্ছে না৷ অথচ আমরা কাজে কোনও ঢিলেমি দিই না৷ করোনা আবহে কাজ করতে গিয়ে আমাদের কয়েকজন সহকর্মী মারা গিয়েছেন৷ তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা কেউ করোনার টিকা নেব না৷ তবে মানুষের টিকাকরণে আমরা যেভাবে কাজ করছি, করে যাব৷”
মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত এমনই এক স্বাস্থ্যকর্মী মানসী হালদার বলেন, “দপ্তরের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার প্রতিবাদেই আমরা করোনা টিকা বয়কট করেছি৷ এখানে ২৫ জন সহকারী ও ছ’জন সুপারভাইজারের কেউ টিকা নিইনি৷ আমাদের দাবি পূরণ হলে তবেই আমরা এই টিকা নেব৷ তবে টিকাকরণের কাজ আমরা চালিয়ে যাচ্ছি৷”