গঙ্গা ভাঙনে রাজনৈতিক তরজা মালদা, 8 অগস্ট: রতুয়ায় গঙ্গার ভয়াবহ ভাঙন নিয়ে সোমবারই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ৷ গঙ্গাপাড়ের 10 লাখ মানুষের দুর্দশার জন্য কেন্দ্রকেই দোষারোপ করেন তিনি ৷ তিনি দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার জানানো সত্ত্বেও তারা গঙ্গার ভাঙন রোধে কিছু পদক্ষেপ নেয়নি ৷ যদিও উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু দিল্লি থেকে জানিয়েছেন, একাধিকবার আবেদন জানানো সত্ত্বেও রাজ্য সরকার গঙ্গার ভাঙন রোধে কোনও পরিকল্পনা তৈরি করে কেন্দ্রকে পাঠায়নি ৷
চলতি মরশুমে কয়েকদিন ধরেই গঙ্গার জলস্তর বাড়ছে ৷ আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন বিপন্ন মানুষজন ৷ অস্তিত্বের সংকটে এলাকার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের বাড়িও ৷ সমরবাবু বলেন, "গঙ্গা ভাঙন রোধের জন্য কেন্দ্র কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না ৷ এই কাজের জন্য বাংলা-বিহার-ঝাড়খণ্ডকে একটা পয়সাও দিচ্ছে না ৷ তাই আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে 100 দিনের কাজ, বাংলা আবাস যোজনা এবং গঙ্গার ভাঙন রোধের টাকা মঞ্জুর করাতে দিল্লি যাচ্ছি ৷ গঙ্গার ভাঙন রোধের কাজের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের ৷ তারা সেই দায়িত্ব পালন করছে না ৷ আসলে ওরা অবিজেপি রাজ্যগুলিকে মুছে ফেলতে চায় ৷"
আরও পড়ুন:ভয়াল চেহারা গঙ্গার! ভাঙনে তলিয়ে গেল পুলিশ ক্যাম্প
এদিকে দিল্লি থেকে বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু জানাচ্ছেন, গঙ্গা আর ফুলহরের ভাঙন মালদা জেলার দীর্ঘদিনের সমস্যা ৷ এই সমস্যা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে রাজ্য সরকার কখনও কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কি? তারা কি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কখনও কোনও প্রস্তাব পাঠিয়েছে? কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এ নিয়ে কোনও প্রস্তাব এখনও পর্যন্ত আসেনি ৷ তাহলে বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় কী করে ভাঙন সমস্যার দায় কেন্দ্রের কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছেন? সমরবাবুকে বলছি, আপনি আগে মুখ্যমন্ত্রীর ঘুম ভাঙান ৷ আমি কথা দিচ্ছি, সাংসদ হিসাবে এই কাজে কেন্দ্রের অর্থ বরাদ্দ করাতে আমার দায়িত্ব আমি পালন করব ৷"
এদিকে রাজ্য সেচ দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, 2022 সালের 22 ফেব্রুয়ারি গঙ্গা ভাঙন সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ চলতি বছরের জুন মাসে রাজ্য সেচ দফতরের তরফেও কেন্দ্রকে এনিয়ে চিঠি পাঠানো হয় ৷ চিঠিতে গঙ্গা ভাঙন রোধে কোনও পরিকল্পনা তৈরি করে তার প্রস্তাব কেন্দ্রকে পাঠানো হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি ৷
আরও পড়ুন:10 বছরের মধ্যে গঙ্গার ভাঙন কমানোর প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর