মালদা, 18 ফেব্রুয়ারি : বেতন বৃদ্ধি, মাসে 4 দিনের ছুটির দাবি সহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে বেতন কেটে নেওয়ার অভিযোগ তুলে গতকাল থেকে শুরু হওয়া অস্থায়ী কর্মীদের টানা কর্মবিরতিতে নরক দশা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ এই পরিস্থিতিতে রোগীর ছুটি করিয়ে বাড়ি কিংবা অন্যত্র নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন পরিবারের লোকজন ৷ এদিকে অস্থায়ী কর্মীদের বক্তব্য, তাঁদের বেতন কেটে নিচ্ছে বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা ৷ এর কোনও সুরাহা না হলে তাঁদের কর্মবিরতি চলতে থাকবে ৷ তবে এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷
চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করেন 156 জন অস্থায়ী কর্মী ৷ হাসপাতাল সাফাইয়ের কাজেও এই কর্মীদেরই নিয়োগ করা হয় ৷ তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের কোনও সমস্যা হলে ঠিকাদার সংস্থা কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না ৷ পারিবারিক কিংবা শারীরিক সমস্যায় কেউ কাজে আসতে না পারলে বেতন কেটে নেওয়া হচ্ছে ৷ অকারণেও কাটা হচ্ছে বেতন ৷ এরই প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে নামতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা ৷ রানারাম চৌধুরি নামে এক কর্মী বলেন, “আমরা 4-5 বছর ধরে এই ঠিকাদার সংস্থার অধীনে হাসপাতালে কাজ করছি ৷ কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই ওই সংস্থা আমাদের মাসিক বেতন থেকে মোটা অঙ্কের টাকা কেটে নেয় ৷ এমনিতেই আমরা মাসে সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা রোজগার করি ৷ তারমধ্যে টাকা কেটে নেওয়া হলে আমাদের সংসার কীভাবে চলবে ? গত মাসে প্রত্যেকের বেতনে 1 হাজার থেকে শুরু করে 3 হাজার টাকা কাটা হয়েছে ৷ কেন সেই টাকা কাটা হল, তা আমাদের জানানো হয়নি ৷ এর আগে এনিয়ে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসি ৷ কর্তৃপক্ষ কথা দিয়েছিল, সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে ৷ কিন্তু তা হয়নি ৷ তাই গতকাল থেকে আমরা ধর্ণায় বসেছি ৷ আমাদের কর্মবিরতির জন্য রোগী ও তাদের পরিবারের লোকজনকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷ এতে আমরা দুঃখিত ৷ কিন্তু পেটের ভাত না জোটাতে পারলে আমরা কীভাবে কাজ করব ?"