মালদা, 23 জুলাই: ত্রিপুরার উদয়পুর থেকে আগরতলায় জামাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বেড়িয়েছিলেন, কিন্তু ভুল করে পৌঁছলেন মালদায়। এরপর মানসিক ভারসাম্যহীন এই প্রৌঢ় উদ্দেশ্যহীনভাবে মালদা শহরে ঘুরে বেড়াতে থাকেন । বিষয়টি নজরে আসে এক বিদায়ী কাউন্সিলরের। তিনি চাইল্ড লাইন ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন । 17 দিনের চিকিৎসা ও কাউন্সেলিংয়ের পর অবশেষে বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরে যান এই প্রৌঢ়। তাঁকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে মালদায় আসেন স্ত্রী ও জামাই ।
ত্রিপুরার উদয়পুর থানার জামজুরি গ্রামের বাসিন্দা কেশব ভৌমিক (65)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি একাধারে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত অন্যদিকে মানসিক ভারসাম্যহীন। উদয়পুর থেকে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে আগরতলায় জামাইয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা দেন তিনি। তবে আগরতলার বদলে এসে পৌঁছন মালদা শহরে । মালদা শহরে পৌঁছে উদ্দেশ্যহীনভাবে এদিক-ওদিক ঘুরতে থাকেন তিনি। মহেশমাটি এলাকায় বিষয়টি নজরে আসে ইংরেজবাজার পৌরসভার 17 নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর শুভময় বসুর। মূলত তাঁর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরেছেন কেশববাবু । শুভময়বাবু বলেন, "6 জুলাই আমি এই বৃদ্ধকে মহেশমাটি এলাকায় পড়ে থাকতে দেখি। বুঝতে পারি, তাঁর কোনও সমস্যা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি জেলার চাইল্ড লাইন ও শেলটার অফ মালদা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। চাইল্ড লাইনের অফিসটি আমার ওয়ার্ডেই। খবর পেয়েই তারা আসে। এই কাজ তাদের নয় জেনেও তারা মানবিক হয়ে কেশববাবুর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় । তাঁকে মালদা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয় । সঙ্গে চলতে থাকে কাউন্সেলিং। প্রতিনিয়ত চিকিৎসকের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলছিলেন চাইল্ড লাইনের কর্মীরা । শেষ পর্যন্ত তাঁর নাম ও ঠিকানা উদ্ধার করা হয় । কেশববাবুর বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। আজ তাঁর স্ত্রী ও জামাইয়ের হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হচ্ছে । আজই তাঁরা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে কেশববাবুকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।"