মালদা, 25 জানুয়ারি :গ্রামবাসীদের অপরাধ, তাঁরা ঠিকাদারের কাছে রাস্তার কাজ কতটা হচ্ছে দেখতে চেয়েছিলেন । শিডিউল মেনে কাজ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে গিয়েছিলেন । কিন্তু তাঁরা জানতেন না, ঠিকাদার খোদ শাসকদলের বিধায়কের ভাই । এই না জানার ফলই এখন ভোগ করতে হচ্ছে তাঁদের । অর্ধেক কাজ হওয়ার পর সেই অবস্থাতেই কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছেন ঠিকাদার (Road Construction Work Stopped in Malda) । এদিকে ওই বেহাল রাস্তায় জেরবার কয়েক হাজার মানুষ । বিষয়টি নিয়ে তাঁরা মালদা জেলা পরিষদে যোগাযোগ করেছিলেন । পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গিয়েছেন জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারও । কিন্তু শাসকদলের বিধায়কের ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে কে ? কবে এই দশা ঘুচবে, জানেন না পুরাতন মালদার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলি গ্রামের মানুষজন।
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলি গ্রামের উপর দিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তার প্রকল্প বরাদ্দ হয়েছিল । এই কাজের বরাত পেয়েছিলেন পাশের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মোশারফ হোসেনের ভাই মোজফ্ফর হোসেন । বর্ষার পরই এই কাজ শুরু হয়ে যায় । পুরনো রাস্তা খুঁড়ে সেখানে বালি-পাথরও ফেলা হয় । কিন্তু কাজের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কদমতলি গ্রামের বাসিন্দারা । মাস তিনেক আগে তাঁরা ঠিকাদারের ম্যানেজারের কাছে কাজের শিডিউল দেখতে চান । কিন্তু তা তাঁদের দেখানো হয়নি ।
আরও পড়ুন :2017 Malda Flood Corruption : কোর্টের নির্দেশে ফেরার বরুই পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে তালা লাগাল পুলিশ
গ্রামবাসীরা জানিয়ে দেন, শিডিউল দেখিয়েই ঠিকাদারকে রাস্তার কাজ করতে হবে । এরপরই আড়াই কিলোমিটার এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার কাজ । তবে আট কিলোমিটারের মধ্যে তিন কিলোমিটার এলাকায় রাস্তার কাজ শেষ করে দেওয়া হয়েছে । বাকি আড়াই কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলছে । শুধু মধ্যের আড়াই কিলোমিটার এলাকায় দেখা নেই ঠিকাদার সংস্থার । এদিকে এই রাস্তার উপর নির্ভর করেন 20 থেকে 25টি গ্রামের মানুষ । প্রতিদিন 10 হাজারেরও বেশি মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন । কিন্তু উপায় নেই ৷ তাই এই ভাঙাচোরা রাস্তায় ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে তাঁদের । কোনও রোগী কিংবা প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সংকট আরও প্রবল হচ্ছে ।