মালদা, 30 জুন:বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো ৷ আর দুর্গাপুজোর কার্নিভাল তো এখন বিশ্বের দরবারে জায়গা করে নিয়েছে ৷ আর এবার মালদার গাজোলবাসীর চমক রথের কার্নিভাল ৷ আগামিকাল রথযাত্রা ৷ পালনীয় সমস্ত জায়গায় জোরকদমে শুরু হয়েছে শেষ রথযাত্রার প্রস্তুতি ৷ তাই কোমরবেঁধে রথযাত্রা কার্নিভালের আয়োজনে উঠে পড়ে লেগেছে রথযাত্রা কমিটিগুলি (Rath Yatra Carnival will Celebrate in Malda) ৷
রথযাত্রা কার্নিভাল ঘিরে আজ গাজোলে সাজোসাজো রব। বিভিন্ন রথযাত্রা কমিটিকে নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছিলেন ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) শেখ আজহারউদ্দিন। এ নিয়ে তৃতীয়বার হল পুলিশের এমন বৈঠক। এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরও এ নিয়ে বৈঠক করেছে। প্রত্যেকের তরফেই সহযোগিতা করার আশ্বাস মিলেছে। তাই এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত কমিটিগুলি।
মালদাতেই এবার হচ্ছে রথযাত্রা কার্নিভাল উদযাপন জানা গিয়েছে, এমন একটি কার্নিভালের কথা প্রথম ভেবেছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী বিধানচন্দ্র রায়। তাঁর কথায়, এখানে আমরা একটি রথ চালু করেছিলাম। তাতে অনেক লোক হত। এখানে আগে তিনটি রথ ছিল। এখন সাতটি। আমার মাথায় এসেছিল, যদি এলাকার প্রতিটি রথের চাকা একসঙ্গে গড়ায়, তবে কেমন হয় ! এটা কোথাও হয় না। আমরা যদি এটা করতে পারি তবে সেটা রাজ্যে প্রথম হবে। এই কার্নিভালের জন্য পুলিশ, বিডিও-সহ প্রশাসনিক সমস্ত মহল থেকে আমরা সাহায্য পাচ্ছি। রাজনৈতিক দলগুলিও আমাদের পাশে রয়েছে। প্রথমবার হাজার দশেক মানুষের আশা করছি। পরবর্তীতে আরও বেশি মানুষ এই কার্নিভালে অংশ নেবেন। আমাদের দেখে রাজ্যের আরও অনেক জায়গায় এই কার্নিভ্যাল হবে বলেই আশা করছি।
আরও পড়ুন :রথযাত্রার জমকালো উৎসবে সুভদ্রা যেন নারীত্বের নীরব প্রতিমূর্তি !
গাজোলের সবচেয়ে প্রাচীন তারাতলা রথ। কার্নিভাল উপলক্ষ্যে এবার প্রায় 15 লাখ টাকায় রথের আমূল সংস্কার করা হচ্ছে। ওই রথযাত্রা কমিটির সভাপতি নেপালচন্দ্র ঘোষ বলেন, "এতদিন আমাদের বাঁশের রথ ছিল। এবার এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা কাঠের বড় রথ তৈরি করছি। তার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই রথ প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো ৷