মালদা, 7 এপ্রিল: দু’দিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খবর নিয়ে আলোড়ন ছড়ায় । খবরটি হল, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও এক ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি নেয়নি কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ৷ শেষ পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় মারা যান ওই ব্যক্তি । সেই একই ছবি এবার মালদার এক গ্রামে । স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা পাচ্ছেন না এক তৃণমূল নেতা । শুধু তাই নয়, দুয়ারে রেশনও অধরা তাঁর । বাবা-মায়ের অবর্তমানে এনিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি । সরকারি প্রকল্পের সুবিধে না পেয়ে অসহায় এই তৃণমূল নেতা স্বেচ্ছামৃত্যুর কথা বলছেন (Helpless Condition of Malda TMC Leader) ।
রতুয়া 2 নম্বর ব্লকের আড়াইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের পিরপুর গ্রামের বাসিন্দা ইমরান আলি । বয়স 29বছর । বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান তিনি । ছোট বেলায় ফুটবল খেলতে গিয়ে হঠাৎ পায়ে ব্যথা শুরু হয় । সেই সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন । কিন্তু আর্থিক অনটনে তাঁর চিকিৎসা করাতে পারেননি অভিভাবকরা । সেই অবস্থাতেও 73 শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছিলেন তিনি । এখন তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ, 80 শতাংশ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন । তাঁর সরকারি শংসাপত্রও রয়েছে । সম্প্রতি তাঁর বাবা হেলু শেখ আর মা মলিনা বিবি করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন । তিনি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ স্তরের নেতা । তবুও সরকারি সহায়তা থেকে আজ তিনি অনেক দূরে । নিজের সমস্যা প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েছেন ইমরান ৷ এলাকার বিডিও, নবান্নতেও বিষয়টি জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি ৷