মালদা, 22 সেপ্টেম্বর: খেলাচ্ছলেও কিছু করে দেখানো যায় ৷ সেটাই করে দেখিয়েছে বছর সাতেকের আত্মজা ৷ করোনাকালের লকডাউন যখন খুদেদের মানসিকভাবে বিপন্ন করে তুলেছিল, তখন আত্মজা হাতে তুলে নিয়েছিল রং-তুলি ৷ পুতুলের জন্য বানাচ্ছিল ছোট ছোট কাগজের ব্যাগ ৷ তাকে সাহায্য করছিলেন মা ৷ খুদে মেয়ের সেই খুদে ব্যাগই তাকে দেশে পরিচিতি এনে দিয়েছে ৷ তার তৈরি কাগজের খুদে ব্যাগ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে (Little Girl Placed Her Name In India Book Of Records) ৷
আত্মজার বাবা বাবুসোনা সরকার প্রাথমিক শিক্ষক ৷ আদপে তাঁরা নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা ৷ মাস ছয়েক আগে চাকরিসূত্রেই মালদায় এসেছেন ৷ স্ত্রী মৌসুমি কর রাজ্য সরকারের মান্যতাপ্রাপ্ত হস্তশিল্পী ৷ নিজের শিল্প প্রতিভা এখন মেয়ের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ৷ তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়েছে গত 6 সেপ্টেম্বর ৷ সেদিনই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফে তাঁদের ই-মেইল করে আত্মজার কাগজের ব্যাগের নথিভূক্ত হওয়ার খবর জানানো হয়েছে ৷ মেইল মারফত আত্মজাকে একটি শংসাপত্রও পাঠানো হয়েছে ৷ যাতে উল্লেখ রয়েছে, তার তৈরি কাগজের ব্যাগ বাচ্চাদের বিভাগে সবচেয়ে ছোট ৷ সেই খুদে ব্যাগের মাপ 5 x 2.4 সেন্টিমিটার ৷
দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে আত্মজা ৷ সে জানাচ্ছে, “স্কুলের বন্ধুরা যদি এসব আমার কাছে শিখতে চায়, তবে আমি তাদের শেখাতে রাজি আছি ৷ কিন্তু ওরা কেউ শিখতেই চায় না ৷ আমার তৈরি কাগজের ব্যাগ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা পেয়েছে ৷ খুব ভালো লাগছে ৷ আমি আরও কাজ করব ৷”