পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Malda Betel Cultivation: অনাবৃষ্টিতে পচছে বরজের পান, মাথায় হাত চাষিদের - Lack of rainfall badly hit the Betel Leaf Cultivation

মালদা জেলায় মূলত রতুয়া 1 ও 2, বামনগোলা, হবিবপুর, পুরাতন মালদা এবং চাঁচল 1 ও 2 নম্বর ব্লকে পানচাষ হয়ে থাকে । বৃষ্টির অভাবে চাষের সংকটে পড়েছেন গোটা জেলার পানচাষিরাই (Lack of rainfall badly hit the Betel Leaf Cultivation) ।

Malda Betel Cultivation news
তাপপ্রবাহে ঝলসে শুকিয়ে যাচ্ছে পানগাছ

By

Published : Jul 17, 2022, 1:51 PM IST

মালদা, 17 জুলাই: শুধু পাটই নয়, আষাঢ়ের অনাবৃষ্টির তাপে ঝলসে যাচ্ছে মালদার পানও । প্রথমদিকে এলাকার জলাশয় থেকে সেচের ব্যবস্থা করা গেলেও রোদের তাপে জলের উৎসগুলিও এখন কার্যত শুকিয়ে কাঠ (Betel leaf Creepers are Dying due to lack of Rainfall) । ফলে বরজে জলের জোগান দিতে পারছেন না পানচাষিরা । তাঁরা জানাচ্ছেন, যে অবস্থা, তাতে আর পানগাছ বাঁচানো সম্ভব নয় । যে ঋণ নিয়ে তাঁরা এই চাষ করেছেন, সেটা মেটাবেন কীভাবে তার চিন্তাতেই ঘুম উড়েছে তাঁদের । আরও বড় সমস্যা পানচাষে নিযুক্ত শ্রমিকদের । বরজ মালিকরা তাঁদের কাজে নিয়োগ করছেন না । ফলে অনাবৃষ্টিতে একদিকে পানচাষি, অন্যদিকে শ্রমিকরাও চরম সমস্যায় পড়েছেন । যদিও জেলা উদ্যানপালন দফতরের আশা, দু’চারদিনের মধ্যেই জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ।

মালদা জেলায় মূলত রতুয়া 1 ও 2, বামনগোলা, হবিবপুর, পুরাতন মালদা এবং চাঁচল 1 ও 2 নম্বর ব্লকে পানচাষ হয়ে থাকে । বৃষ্টির অভাবে চাষের সংকটে পড়েছেন গোটা জেলার পানচাষিরাই । পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়ুইপাড়া গ্রামের পানচাষি দীপক মণ্ডল বলেন, "বাপ-ঠাকুরদার সময় থেকে আমার পরিবার এই চাষের সঙ্গে যুক্ত । ছোট থেকে আমিও পানচাষ করি । 53 বছরের সময়কালে আষাঢ় মাসে টানা দেড় থেকে দু’মাস বৃষ্টিহীন, কখনও দেখিনি । রোদের তাপে মাটি তেতে যাচ্ছে । গোড়া থেকে পানের গাছ ঝলসে শুকিয়ে যাচ্ছে । এখানে মাত্র একটি সাবমার্সিবল পাম্প । সেটাও বেশ খানিকটা দূরে । এতদিন পুকুর থেকে জলসেচ দিয়ে কোনওরকমে পান গাছ টিকিয়ে রেখেছিলাম । কিন্তু এখন পুকুরও শুকিয়ে গিয়েছে । সেচ দিতে পারছি না। এই অবস্থায় সরকারি সাহায্য না পেলে কীভাবে ঋণ শোধ করব, বুঝতে পারছি না ।"

আষাঢ়ের অনাবৃষ্টির তাপে ঝলসে যাচ্ছে মালদার পান

চণ্ডী দে নামে পান বরজের এক শ্রমিক জানান, "35 বছর ধরে এই কাজই করে আসছি । রোদের তাপে এখন পানের গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। মালিকরাই সংকটে পড়েছেন । তাঁরা আমাদের কাজে লাগাচ্ছেন না। কী করে সংসার চালাব, জানি না ।"

আরও পড়ুন:বৃষ্টির ঘাটতিতে নষ্ট হচ্ছে মাঠের পাট, মাথায় হাত চাষিদের

এ নিয়ে জেলা উদ্যানপালন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সামন্ত লায়েক বলেন, "এবার প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা চলছে। দীর্ঘদিন ধরে মালদায় বৃষ্টি হয়নি। এই মুহূর্তে জেলায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি প্রায় 80 শতাংশ । এতে বেশ কিছু ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এই সময় পান গাছে জল স্প্রে করা যেতে পারে। ড্রিপস পদ্ধতিতেও জল দেওয়া যেতে পারে। আমরা আশাবাদী, দু’চারদিনের মধ্যে বৃষ্টি নামবে। তবে এখন পান চাষে কোনও ওষুধ প্রয়োগের প্রয়োজন নেই ।"

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details