মালদা, 17 জুলাই: শুধু পাটই নয়, আষাঢ়ের অনাবৃষ্টির তাপে ঝলসে যাচ্ছে মালদার পানও । প্রথমদিকে এলাকার জলাশয় থেকে সেচের ব্যবস্থা করা গেলেও রোদের তাপে জলের উৎসগুলিও এখন কার্যত শুকিয়ে কাঠ (Betel leaf Creepers are Dying due to lack of Rainfall) । ফলে বরজে জলের জোগান দিতে পারছেন না পানচাষিরা । তাঁরা জানাচ্ছেন, যে অবস্থা, তাতে আর পানগাছ বাঁচানো সম্ভব নয় । যে ঋণ নিয়ে তাঁরা এই চাষ করেছেন, সেটা মেটাবেন কীভাবে তার চিন্তাতেই ঘুম উড়েছে তাঁদের । আরও বড় সমস্যা পানচাষে নিযুক্ত শ্রমিকদের । বরজ মালিকরা তাঁদের কাজে নিয়োগ করছেন না । ফলে অনাবৃষ্টিতে একদিকে পানচাষি, অন্যদিকে শ্রমিকরাও চরম সমস্যায় পড়েছেন । যদিও জেলা উদ্যানপালন দফতরের আশা, দু’চারদিনের মধ্যেই জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ।
মালদা জেলায় মূলত রতুয়া 1 ও 2, বামনগোলা, হবিবপুর, পুরাতন মালদা এবং চাঁচল 1 ও 2 নম্বর ব্লকে পানচাষ হয়ে থাকে । বৃষ্টির অভাবে চাষের সংকটে পড়েছেন গোটা জেলার পানচাষিরাই । পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়ুইপাড়া গ্রামের পানচাষি দীপক মণ্ডল বলেন, "বাপ-ঠাকুরদার সময় থেকে আমার পরিবার এই চাষের সঙ্গে যুক্ত । ছোট থেকে আমিও পানচাষ করি । 53 বছরের সময়কালে আষাঢ় মাসে টানা দেড় থেকে দু’মাস বৃষ্টিহীন, কখনও দেখিনি । রোদের তাপে মাটি তেতে যাচ্ছে । গোড়া থেকে পানের গাছ ঝলসে শুকিয়ে যাচ্ছে । এখানে মাত্র একটি সাবমার্সিবল পাম্প । সেটাও বেশ খানিকটা দূরে । এতদিন পুকুর থেকে জলসেচ দিয়ে কোনওরকমে পান গাছ টিকিয়ে রেখেছিলাম । কিন্তু এখন পুকুরও শুকিয়ে গিয়েছে । সেচ দিতে পারছি না। এই অবস্থায় সরকারি সাহায্য না পেলে কীভাবে ঋণ শোধ করব, বুঝতে পারছি না ।"