মালদা, 30 জুন: বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল নদী ভাঙন (Malda River Erosion)। বুধবার রাতে ফুলহরের ভাঙন শুরু হয়েছে মানিকচক ব্লকের মথুরাপুরের শংকরটোলায় । নদীবাঁধের প্রায় 20 মিটার এলাকা জুড়ে এই ভাঙন শুরু হয়েছে । সেই জায়গা থেকে মাত্র 30 মিটার দূরেই রয়েছে ফুলহারের উপর নির্মিত ভূতনি ব্রিজ । এই ব্রিজের জন্যই এলাকায় এমন ভাঙন শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । তাঁদের মনে এখনও 2019 সালের আতঙ্ক ৷ বাঁধ রক্ষায় রাত থেকে বালি ও মাটি ভর্তি বস্তা নদীতে ফেলতে শুরু করেছে সেচ দফতর । এই ঘটনার জন্য প্রশাসনকেই দুষছেন এলাকার বাসিন্দা তথা সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য দেবজ্যোতি সিনহা ৷
বুধবার সন্ধে থেকেই ফুলহরের বাঁধে নদীর স্রোত ধাক্কা মারতে শুরু করে । রাতে বাঁধের অনেকটা অংশ বসে যায় । স্থানীয়রা বুঝে যান, নদী এবার পাড়ের নীচের অংশ কেটে নিচ্ছে । এমন ভাঙন অত্যন্ত বিপজ্জনক । এতে যে কোনও মুহূর্তে বিশাল ভূখণ্ড নদীতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । পরিস্থিতি বুঝে প্রথমে স্থানীয়রাই বাঁধ রক্ষায় এগিয়ে আসেন । তাঁদের একজন চন্দন মণ্ডল । তিনি বলেন, "নদীর বর্তমান অবস্থা ভালো নয় । বাঁধে ফাটল ধরেছে । ভাঙন রোধের কাজ ঠিকমতো না-হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে । বর্ষায় নদীর জল ও স্রোত এখন বেশি । কিছুটা জল কমতেই ভাঙন শুরু হয়েছে । ভূতনি ব্রিজের পিলারের জন্যই এখানে নদীর স্রোত পাড়ে ধাক্কা মারছে । বস্তার কাজ করে বাঁধ বাঁচানো যাবে না । বুঝে ফেলেছি, এখানে আর থাকতে পারব না ।"