মালদা, 12 অক্টোবর: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে ফের মৃত্য়ু মালদার শ্রমিকের ৷ বুধবার গভীর রাতে গ্রামে পৌঁছয় শ্রমিকের দেহ ৷ তারপরেই ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৃতের পরিবার ও গ্রামবাসীরা স্থানীয় ঠিকাদারের বাড়ির সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ রতুয়া 2 নম্বর ব্লকের পশ্চিম বেতাহা গ্রামের ঘটনা ৷ মৃত শ্রমিকের নাম ইশা সবজি ৷ বয়স 35 বছর ৷ তিনি সবজিপাড়ার বাসিন্দা ৷
মাস দুয়েক আগে পশ্চিম বেতাহা গ্রামের ঠিকাদার রাজেশ সবজির তত্ত্বাবধানে গুজরাতে টাওয়ার নির্মাণের কাজে গিয়েছিলেন ওই শ্রমিক ৷ গত সোমবার পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোন আসে, টাওয়ারের উপরে কাজ করতে গিয়ে সেফটি বেল্ট ছিঁড়ে উপর থেকে নীচে পড়ে যান ওই শ্রমিক ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ইশারের ৷
পরিবারের দাবি, সেই সময় জানানো হয়েছিল, এই দুর্ঘটনা জনিত কারণে মৃত্য়ু হওয়ায় আর্থিক সাহায্য করা হবে ৷ কিন্তু গতকাল গভীর রাতে শ্রমিকের মৃতদেহ পৌঁছোলে ঠিকাদার রাজেশ সবজি জানিয়ে দেন, তিনি ইশার পরিবারকে কোনও আর্থিক সাহায্য পাবে না ৷ এরপরেই ইশার দেহ নিয়ে রাজেশের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় পরিবারের ও গ্রামবাসীরা ৷
ঘটনা প্রসঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ সবজি বলেন, "দু’মাস আগে ইশা গুজরাতে টাওয়ারের কাজ করতে গিয়েছিলেন ৷ সোমবার বিকেলে জানতে পারি টাওয়ার থেকে পড়ে ওঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ পাশের গ্রামের রাজেশ নামে এক ঠিকাদারের মাধ্যমে ও কাজে গিয়েছিল ৷ আমরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি ৷ প্রথমে ইশার মৃত্যুর জন্য এক মাসের মধ্যে ন’লাখ 10 হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের আশ্বাসের কথা বলেন ৷ কিন্তু ইশার দেহ ফিরে আসার পর সেই টাকা দিতে পারবে না বলে জানায় ৷" তারপরেই বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা ৷
আরও পড়ুন:সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে গিয়ে মৃত 3 শ্রমিক
এদিকে বিক্ষোভের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুখুরিয়া থানার পুলিশ ৷ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে ঠিকাদার রাজেশের দীর্ঘ আলোচনা হয় ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইশার পরিবারের সদস্যরাও ৷ পুলিশের সামনে ওই ঠিকাদার ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে রাজি হন ৷ ক্ষতিপূরণের আশ্বাস পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভোরে ইশার দেহ গ্রামে কবরস্থ করে পরিবারের লোকজন ৷