মালদা, 4 মে : চাঁচলে জমি থেকে এক যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হল । মৃতের নাম আনসার আলি ৷ বয়স 35 বছর ৷ ঘটনাস্থান থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে তাঁর বাড়ি ৷ আগে ভিনরাজ্যে মজুরি করলেও, গত পাঁচ বছর ধরে তিনি নিজের শ্যালো মেশিন চালাতেন ৷ আজ সকালে সেই মেশিনঘরের সামনেই তাঁর গলাকাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবা গ্রামের ঘটনা ৷ খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠিয়েছে চাঁচল থানার অন্তর্গত খরবা ফাঁড়ির পুলিশ ৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মৃতের আব্বা ও বিবিকে ৷ কী কারণে ওই ব্যক্তিকে এভাবে খুন করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।
নিহত আনসারের পরিবারে আব্বা আবেদ আলি, মা কোহিনুর বিবি ছাড়াও রয়েছেন বিবি নুরবানু বিবি ও তিন বছরের ছেলে ৷ নুরবানু বলেন, "শওহরের সঙ্গে কারোর কোনও বিবাদের কথা শুনিনি কখনও ৷ তবে জমিতে জল দেওয়া নিয়ে কারোর সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়েছিল কি না জানি না ৷ কাজের জন্য মাঝেমধ্যে রাতে শ্যালোর ঘরে থাকত ৷ ওর টিকটক ভিডিয়ো বানানোর নেশা ছিল ৷ গতকাল সন্ধেয় নতুন ভিডিয়ো বানানোর জন্য আমার কাছে একটা গামছা চায় ৷ কিন্তু নতুন গামছা বাড়িতে নেই ৷ সেকথা বলায় নতুন গামছার সন্ধানে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ৷ আর ঘরে ফেরেনি ৷ বাড়ির সবাই ভেবেছিলাম, কাজের জন্য রাতে হয়ত শ্যালো মেশিনের ঘরেই থেকে গেছে ৷ আজ সকালে শাশুড়িকে ওর খোঁজ করতে বলি ৷ শাশুড়ি জানান, কিছুক্ষণের মধ্যে নিশ্চয়ই ঘরে ফিরে আসবে ৷ তখনই এলাকার কয়েকজন চাষি খবর দেন, শ্যালোর ঘরের সামনে ওর গলাকাটা লাশ পড়ে রয়েছে ৷ সেকথা শুনেই আমরা ছুটে যাই ৷ কেন ওকে এভাবে খুন করা হল জানি না ৷ কে বা কারা এই কাজ করেছে তাও কেউ বুঝতে পারছি না ৷ আমার সর্বনাশ হয়ে গেল ৷"