মালদা, 23 মার্চ : সবকিছু ঠিক থাকলে সাতদিনের মধ্যেই মালদা মেডিকেলে চালু হয়ে যাবে কোরোনা নির্ধারণ পরীক্ষা ৷ ইতিমধ্যে সেই ব্যবস্থা চালুর সরকারি চিঠি মেডিকেল কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে ৷ তবে এখনও পর্যন্ত যন্ত্রপাতি না আসায় সেই ব্যবস্থা চালু করা যায়নি ৷ এদিকে কোরোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আজই মেডিকেলের বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে 22টি ভেন্টিলেটর বসানোর কাজ শুরু হয়েছে ৷
মালদা জেলা থেকে প্রতিদিন অসংখ্য শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজ করতে যায় ৷ কোরোনা আতঙ্কের জেরে সেই শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে ৷ এদিকে তারা ঘরে ফিরে আসায় আতঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা ৷ তাঁরাই খবর প্রশাসনকে খবর দিচ্ছে । সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় হাসপাতাল কিংবা মালদা মেডিকেলে ৷ ইতিমধ্যেই মেডিকেলে খোলা হয়েছে বিশেষ ফ্লু কর্নার ৷ চালু হওয়ার পর থেকেই সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে ভিড় করছে ভিনরাজ্য কিংবা বিদেশ থেকে ফিরে আসা লোকজন ৷ আজও সেখানে কয়েকশো মানুষের ভিড় চোখে পড়েছে ৷ সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে মেডিকেলের বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত তিনজন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৷ তবে এখনও পর্যন্ত জেলায় কোরোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি ৷
মেডিকেলের চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত এই হাসপাতালে কোনও কোরোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি সেকথা ঠিক ৷ তবে COVID 19-এর সংক্রমণ এখন তৃতীয় ধাপে পা দিতে চলেছে ৷ এই সময় কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে কোরোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ ফলে এখানে যে তেমন রোগীর সন্ধান মিলবে না, তা কখনও জোর দিয়ে বলা যাবে না ৷ কিন্তু যদি কোনও রোগী কোরোনা পজ়িটিভ হয়ে থাকেন তাহলে তাঁদের কিছু করার থাকবে না ৷ কারণ কোরোনা নির্ধারণ পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই মালদায় ৷ এক্ষেত্রে রোগীর সোয়াবের নমুনা কলকাতায় পাঠানো হয় ৷ সেখান থেকে রিপোর্ট আসতে কয়েকদিন লেগে যায় ৷ ফলে রোগীর চিকিৎসা শুরু করতেও বেশি সময় লেগে যায় ৷ ততক্ষণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায় ৷