মালদা, 30 অগস্ট: অবাক ঘটনা ৷ গরিব মহিলারা পেয়েছিলেন সরকারি ভাতা ৷ তাও আবার বছর তিনেক আগে ৷ প্রশাসনের তরফেই সেই ভাতা দেওয়া হয়েছিল দুঃস্থ মহিলাদের ৷ সম্প্রতি সেই মহিলাদের কাছেই পৌঁছেছে ভাতার টাকা ফেরতের নোটিশ ৷ তাতে রয়েছে বিডিওর স্বাক্ষরও ৷ নোটিশ অনুযায়ী টাকা ফেরত না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিডিও ৷ এ নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকে ৷ জেলাশাসকের আশ্বাস, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন ৷ এ দিকে ব্লক দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোটা ঘটনাটির তদন্ত চাইছেন দফতরের কর্মীদের একাংশও ৷ তাহলেই নাকি তিন বছর আগের অনেক বেনিয়ম সামনে উঠে আসবে ৷
সূত্রের খবর, ঘটনাটি করোনাকালের ৷ দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষিত হওয়ায় সমস্যায় পড়ে যান নিম্নবিত্ত মানুষজন ৷ বিশেষ করে বৃদ্ধা কিংবা বিধবাদের সমস্যা চরম আকার নেয় ৷ সেই সময় প্রশাসনের তরফে এই মহিলাদের বার্ধক্য ও বিধবা ভাতার পাশাপাশি মানবিক ভাতা দেওয়া হয় ৷ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির তরফে তখন ঢালাও নামের তালিকা ব্লক দফতরে জমা করা হয়েছিল ৷ তাতেই ঘটেছিল বেনিয়ম ৷ একই প্রাপকের নামে দু'তিন ধরনের ভাতা বরাদ্দ করা হয়েছিল ৷ সেই সময় এই খাতে দু'কোটিরও বেশি টাকা খরচ হয় সরকারের ৷
অভিযোগ, কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের তৎকালীন বিডিও সন্দীপ ঘোষ সেই তালিকা পরীক্ষা না করেই ভাতা মঞ্জুর করে দেন ৷ এই বেআইনি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন পঞ্চায়েত প্রধান-সহ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ৷ সরকারি সেই টাকা ফেরত পেতেই বর্তমান বিডিও সেলিম হাবিব হায়দার এই ব্লকের 14টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় 700 জন মহিলা উপভোক্তার কাছে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে খবর ৷