মালদা, 5 ফেব্রুয়ারি : জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল হরিশ্চন্দ্রপুর দুই নম্বর ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রামে ৷ জখম দুই পক্ষের 11 জন ৷ সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন এক পুলিশকর্মীও ৷ বিবাদমান দুই পক্ষই নিজেদের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলে দাবি করেছে ৷ যদিও এনিয়ে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷
ঘটনাটি জগন্নাথপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ৷ 2011 সাল থেকে এক একর 47 শতক জমির দখল নিয়ে বিবাদ চলছিল পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ শফিকুল আলম ও মহম্মদ আলাউদ্দিনের মধ্যে৷ দু’জনের বিবাদ আদালত পর্যন্ত গড়ায় ৷ সম্প্রতি দুই পক্ষই দাবি করে, আদালত তাদের পক্ষে রায় দিয়েছে৷ এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা চলছিল ৷ সোমবার রাত থেকে সেই বিবাদ চরম আকার নেয় ৷ গতকাল সকালে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয় ৷ চলে বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও ইটবৃষ্টি ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পাথরের আঘাতে জখম হন এক SI ৷ জখম হয় দুই পক্ষের 11 জন ৷ তড়িঘড়ি তাদের স্থানীয় মশালদহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরে দু’জনকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয় ৷
ঘটনাপ্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর দুই নম্বর ব্লকের TMCP-র চেয়ারম্যান ও কার্যকরী সভাপতি মহম্মদ সফিকুল আলম বলেন, “জমিটির পাট্টা আমার নামে রেকর্ডভুক্ত ৷ সেই জমিতে কংগ্রেসের কয়েকজন দুষ্কৃতী মাটি ভরাট করতে শুরু করে ৷ আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের মারধর করে ৷ হামলায় পরিবারের কয়েকজন জখম হয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ আলাউদ্দিন, তাজমুল হক, মাইনুল হক, হারুন আলিসহ আরও অনেকে এই ঘটনায় যুক্ত ৷ এরা সবাই কংগ্রেস করে৷ আজ সকালে ওরা বন্দুক নিয়ে আমার বাড়ির সামনে আসে৷ আমাকে বাড়ি থেকে বেরোতে বলে ৷ খুনের হুমকি দেয়৷ ওরা সকাল থেকে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাড়ি ঘিরে রাখে ৷ ভয়ে আমরা কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারিনি ৷ বাড়ি লক্ষ্য করে প্রচুর পাথর ছোড়ে ৷ ওই জমিতে আমরা আদালতের মাধ্যমে 144 ধারা জারি করেছিলাম ৷ সেই ধারা সম্প্রতি তুলে নেওয়া হয়েছে ৷ তাতেই ওরা বলছে, আদালত নাকি ওদের পক্ষে রায় দিয়েছে ৷ সেই বিষয়টি থানায় আইনজীবীর মাধ্যমে নিষ্পত্তিও হয়েছিল ৷ আমরা চাই, ওই জমিটি প্রশাসন আমাদের দখলে তুলে দিক ৷ ওরা জমিটি জোর করে দখল করতে চাইছে ৷”