কলকাতা, ২৮ মে: নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন 'দুয়ারে সরকার'-এর কায়দায় 'দুয়ারে রেশন' চালু করবেন । সেইমতো পাইলট প্রোজেক্ট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই । এবার রাজ্য সরকারের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ 'দুয়ারে ত্রাণ ।' সম্ভবত ত্রাণ কর্মসূচির ক্ষেত্রে এই ধারণা একদমই অভিনব । ফলে এই প্রকল্প কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে আগ্রহ । যদিও বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মনে করছে, নামের চমক থাকলেও আসলে এটি নতুন মোড়কে পুরনো দ্রব্য বেচার মতো । বাস্তবে এর থেকে লাভবান হবেন না সাধারণ মানুষ । আর সে কারণেই ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাহায্যের টাকা পাঠানোর কথা বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । কিন্তু বাস্তব এটাই, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর 'দুয়ারে ত্রাণ' প্রকল্পকে রাজনীতির সংযোগ মুক্ত করতে সক্রিয় হয়েছে রাজ্য প্রশাসন । এবার এই প্রকল্পের জন্য শাসকদলের নেতার সুপারিশে নয়, ত্রাণ মিলবে আবেদন এবং প্রশাসনের তদন্তের ভিত্তিতে । এক্ষেত্রে রং বিচার নৈব নৈব চ । রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ আমলার কথায়, গোটা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা আনতে বদ্ধপরিকর সরকার । আর তাই সরাসরি জেলাস্তরের সরকারি কর্মীদের মাধ্যমে আবেদন সংগ্রহ করা হবে ।
প্রত্যেক এলাকায় ক্যাম্প করে আবেদন গ্রহণ করবেন সরকারি আধিকারিকরা । এরপর সেই আবেদন সরাসরি চলে আসবে জেলাশাসকের দফতরে । জেলাশাসক-বিডিওদের মাধ্যমে এই তালিকা যাচাই করবে । আবেদনের সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করেই মিলবে ক্ষতিপূরণের অর্থ । এক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না । দুর্গতদের রাজনৈতিক পরিচয় বিশ্লেষণ না করেই সরকার সরাসরি ক্ষতিপূরণ দেবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে । ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে আবেদন জমা নেওয়ার জন্য দুয়ারে সরকারের কায়দায় ক্যাম্প বসবে এলাকায় এলাকায় ।