কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি: প্রায় ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে লাখ লাখ টাকা । পুরো পরিকল্পনা ছিল জামতারা গ্যাঙের বিনোদ কুমার পণ্ডিতের। তাকে জেরা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর । তার দলের অন্য সদস্যদের খোঁজ চলছে ।
22 বছরের বিনোদকে গভীর জলের মাছ বলেই মনে করছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ । তারা জানতে পেরেছে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করার পরই ব্যাঙ্ক প্রতারণায় হাতে খড়ি হয় তার । নানাভাবে প্রতারণা করতে থাকে সে । শেষ কয়েক বছরে বহু মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে তার দল৷ যার শেষ সংযোজন PAYTM KYC করানোর নামে প্রতারণা । পুলিশ জেনেছে প্রায় ২৫০ জনকে ঠকিয়েছে তারা ৷
15 জানুয়ারি শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের হয় । অভিযোগকারী সমীর সিনহা পুলিশকে জানান, PAYTM এ KYC করার নামে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে লোপাট করে দেওয়া হয়েছে 6.5 লাখ টাকা । তাঁকে বলা হয়, তাঁর PAYTM অ্যাকাউন্টের জন্য KYC করাতে হবে । না হলে শীঘ্রই সেটা বন্ধ হয়ে যাবে । মেসেজে একটি ফোন নম্বর দেওয়া ছিল । সেই নম্বরে ফোন করেন সমীরবাবু । আর তারপরই 6.5 লাখ টাকা খোয়ান তিনি । বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড শাখা ।
জানা যায় , প্রতারকরা KYC সংক্রান্ত মেসেজ করছে । কখনও বলা হচ্ছে KYC সাসপেন্ড করা হয়েছে কখনও আবার বলা হচ্ছে নতুন করে KYC করাতে হবে । ওই মেসেজে থাকছে একটি ফোন নম্বর । যাতে ফোন করলে একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং তাতে ক্লিক করলেই সর্বনাশ । মোবাইলের দখল চলে যাচ্ছে প্রতারকদের হাতে । ওই লিঙ্কে ক্লিক করার পরই আবার একটি ফোন আসছে । যাতে বলা হচ্ছে 10 টাকার একটি বিনিময় করতে । মোবাইলের দখল যেহেতু প্রতারকদের হাতে রয়েছে তাই যেকোনও ট্রানজ়াকশনের সময় তারা দেখে নিতে পারছে পিন নম্বর । তারপর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে । সেই সূত্র ধরে 31 জানুয়ারি দেওঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডা বিনোদ কুমার পণ্ডিত। আর তাকে জেরা করেই পাওয়া যাচ্ছে একের পর এক তথ্য ।