কলকাতা, 22 নভেম্বর: যদিও গতানুগতিক বৈঠক । তবে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দলীয় বিধায়কদের দিল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) পরিষদীয় দল ।
শীতকালীন অধিবেশনের (Winter Session) দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় (West Bengal Assembly) ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক । দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শশী পাঁজাদের নেতৃত্বে পরিষদীয় দল বৈঠক করে । এই অধিবেশনে তাদের অবস্থান কী হবে, তা নিয়েই হয় ওই বৈঠক ।
সেখানে দলীয় বিধায়কদের শৃঙ্খলার সবক দিল রাজ্যের শাসক দল । নিয়মানুবর্তী হোন, সময়ে আসুন, যতদিন অধিবেশন চলবে বিধানসভাকে সময় দিন । বিধানসভার ভেতরে বিজেপির আক্রমণ রুখতে যুক্তিগ্রাহ্য জবাব দিন - এটাই ছিল এদিনের বৈঠকের সারমর্ম ।
এদিন বৈঠক শেষে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা সাধারণত একটি গতানুগতিক বৈঠক প্রত্যেক বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতেই হয় । এখানে বিধায়কদের বার্তা দেওয়া হয় নিয়মিত আসতে হবে, বিধানসভার অধিবেশনের শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে, বিতর্কে অংশগ্রহণ করতে হবে, প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রশ্ন দিতে হবে । একই সঙ্গে কিছু দলীয় নির্দেশও থাকে যেগুলি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের জন্য নয় । দলের নিজস্ব স্ট্র্যাটেজি ৷’’
প্রসঙ্গত, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের শুরুর দিন থেকেই আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে বিরোধী দল বিজেপিকে (BJP) ৷ বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে তারা সরকার পক্ষকে চাপে ফেলার জন্য রীতিমতো হই হট্টগোল শুরু করেছে ৷ এই বিরোধী আক্রমণ প্রতিরোধের কোনও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে কি না, তা জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী জানান, বর্তমান বিরোধী দল বিধানসভায় মানুষের উন্নয়নের কথা শুনতে আগ্রহী নয় । বরং তারা হই হট্টগোল করে তাদের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা পূরণের চেষ্টা করছে ।
তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন বিরোধী দলে আমরা ছিলাম । ঝগড়া করিনি, বিক্ষোভ করিনি, এমন নয় । কিন্তু এসবের পরেও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছি আমরা । কিন্তু বর্তমান বিরোধী দলের আমার মনে হচ্ছে কোথাও একটা দুর্বলতা আছে । সেই দুর্বলতার কারণেই বারবার বিধানসভা অধিবেশন থেকে যে কোনও অছিলায় বেরিয়ে যেতে চাইছেন ওঁরা ।’’
আরও পড়ুন:সোমে বিজেপির বুকে রাষ্ট্রপতি, মঙ্গলে মশা - এতে কার অপমান হল ? প্রশ্ন তৃণমূলের