কলকাতা, 25 অক্টোবর:দশমীতে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের পালা ৷ নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঘাটগুলিতে চলছে নিরঞ্জন-পর্ব ৷ দশমী থেকে শুরু করে আগামী চারদিন প্রতিমা নিরঞ্জন চলবে ৷ এই সময়ে কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়াতে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর, কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকে ঘাটগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, নিরঞ্জনের ফলে গঙ্গার দূষণ যাতে না হয় সেই দিকেও কড়া নজর রাখছে প্রশাসন।
এই বছর দশমী থেকে শুরু করে আগামী চার দিন বাজে কদমতলা ঘাট ও জাজেস ঘাটে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে ঘাটগুলিতে থাকছে দড়ির ব্যারিকেড ৷ পাশাপাশি পর্যাপ্ত পুলিশও মোতায়ন করা হয়েছে। কাঠের লঞ্চের পাশাপাশি রয়েছে মেশিন চালিত বোট । নিমতলা ঘাটে অতিরিক্ত কর্মী মোতায়ন করা হয়েছে। এছড়াও বাজে কদমতলা ঘাটে তিনটি মেশিন চালিত বোট সর্বক্ষণ জলে টহলদারি চালাচ্ছে । প্রতিটি বোটে আছেন চারজন নিরাপত্তা কর্মী।
শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থা নয়, বিসর্জনের সময় হুগলি নদীর দূষণ রোধে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রতিমা নিরঞ্জন করার আগে ফুল, মালা এবং শোলার সাজ খুলে নির্দিষ্ট স্থানে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৷ তারপরই নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন করা যাচ্ছে ৷ নিরঞ্জনের পর ক্রেনের সাহায্যে প্রতিমার কাঠামো জল থেকে তুলে নির্দিষ্ট জায়গায় সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বন্দর ও পৌরনিগম।
দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোর নিরঞ্জনের ক্ষেত্রেই এমনই বন্দোবস্ত থাকবে সংশ্লিষ্ট দিনগুলিতে। বিশেষ করে বড় এবং ভারী প্রতিমা জল থেকে তোলার জন্য বিশেষ একধরনের ক্রেন ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলোকে পনটন মাউন্টেড ক্রেন বলা হয় । এর সঙ্গে থাকে একটি করে কাঠের লঞ্চ। এই ক্রেন পরিচালনা করেছেন দুজন সুপারভাইজার এবং 20 জন কর্মী। এই ক্রেনগুলি পাঁচ টনের ওজনের প্রতিমা জল থেকে টেনে তুলতে পারে ৷ মঙ্গলাবারবেশ কিছু প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। আরও তিন দিন চলবে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব ৷
আরও পড়ুন :টালা প্রত্যয়-সহ 4 পুজো কমিটিকে দুর্গারত্ন পুরস্কার দিলেন রাজ্যপাল