কলকাতা, 18 জুন :31 জুলাই পর্যন্ত বকেয়া ফি মেটাতে না পারলেও কোনও ছাত্র-ছাত্রীর নাম যেন কাটা না হয় স্কুলের খাতা থেকে, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের । বেসরকারি স্কুল ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
মহামারি পরিস্থিতিতে পঠন-পাঠন স্বাভাবিক নয় তবু নেওয়া হচ্ছে বর্ধিত ফি, এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী ধীলন সেনগুপ্ত । গত 4 জুন বিষয়টি বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে উঠলে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই সংক্রান্ত একটি মামলা গত বছরে দীর্ঘদিন ধরে শুনানি হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে । মহামারি পরিস্থিতিতে ফি সংক্রান্ত ব্যাপারে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট । গতবছর মামলায় যে 145টি স্কুল যুক্ত ছিল, তাদের সবাইকে নতুন মামলার ব্যাপারে যাতে ওয়াকিবহাল করা হয় সে ব্যাপারে মামলাকারীকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট ৷
পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারী আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে বিষয়টি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার জন্য দু-তিনটি সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করতে । আজকে মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল । কিন্তু আজ মামলার শুনানির সময় মামলাকারীর তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থনৈতিক কারণে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মত সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি ৷ আদালতের তরফে ফের যাতে দ্রুত বিষয়টি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সব পক্ষকে ওয়াকিবহল করা হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।