কলকাতা, 2 জানুয়ারি:"সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র এসএসকেএম হাসপাতালে বিনা কারণে ভরতি হয়ে বেড দখল করে রেখেছেন। এর ফলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। রোগীরা ভরতি হতে পারছেন না। তাঁর হাসপাতালে থাকার প্রয়োজনীয়তা নেই। আদালত হস্তক্ষেপ করুক। ইডির তদন্তে দেরি হচ্ছে। তাঁর ইডি হেফাজতের ব্যবস্থা হোক ৷" এমনই দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করা হল কলকাতা হাইকোর্টে । মামলাকারী আইনজীবী বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। এই মামলা গ্রহণও করেছেন প্রধান বিচারপতি । আগামী বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত 20 ডিসেম্বর হাইকোর্টের আরও রমাপ্রসাদ সরকার নামে আরও এক আইনজীবী একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, এসএসকেএম হাসপাতাল বিভিন্ন দুর্নীতিতে নাম থাকা অভিযুক্তদের আশ্রয় দিচ্ছে। ওই হাসপাতাল চিকিৎসা পরিষেবার অপব্যবহার করছে ৷ এমনই অভিযোগ তুলে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলাকারীর দাবি, চিকিৎসার প্রয়োজন নেই অথচ ওই হাসপাতালে প্রভাবশালীরা বেড দখল করে রেখেছেন।
সেখানে তাঁদের 'ভণ্ড' চিকিৎসা চলছে। সাধারণ মানুষ বেড পাচ্ছেন না। আশঙ্কাজনক রোগীরা উপযুক্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। মামলাকারীর আরও দাবি, ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিযুক্তদের সব মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হোক। কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত কোনও হাসপাতাল সেই সমস্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখুক। পাশাপাশি ওই হাসপাতালে ভরতি থাকা অভিযুক্তদের কেস রেকর্ড আদালতে জমা দিতে সিবিআই এবং ইডিকে নির্দেশ দিক আদালত।
উল্লেখ্য, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট ইতিমধ্যেই তলব করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারকে 5 জানুয়ারি রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিগত 4 মাস নানা অছিলায় তাঁর ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়া যাচ্ছে না বলে আদালতে অভিযোগ করেছে ইডি-র(এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট) আইনজীবী। বাইপাস সার্জারির পরে শারীরিকভাবে সুজয় কৃষ্ণ সুস্থ থাকলেও ইডির জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতেই তিনি রাজ্যের অন্যতম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়ে বসে আছেন বলে আদালতে অভিযোগ তুলেছে ইডি।
আরও পড়ুন:
- কেমন আছেন কালীঘাটের কাকু? এসএসকেএমে বসল মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠক
- নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু
- সুজয় ঘোষের ফিল্মের শ্যুটিয়ে জেহকে নিয়ে দার্জিলিয়ে করিনা