কলকাতা, 23 নভেম্বর:বিধানসভায় আচরণ নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সতর্ক করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Speaker of Bengal Assembly)। মূলত অসংসদীয় বাক্য ব্যবহারের জন্যই এই সতর্কতা । বিধানসভার প্রথমার্ধেই মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের পর রাজ্য বিধানসভায় আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সে সময় সার নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অসংসদীয় বাক্য ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে (Unparliamentary Behaviour)। এ দিন এই নিয়েই বিরোধী দলনেতার ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে সরকারপক্ষ । পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিজে দ্বিতীয়ার্ধে বিষয়টি বিধানসভার নজরে আনেন এবং এই বিষয়টি উত্থাপন করে বিরোধী দলনেতার সমালোচনা করেন ।
বিধানসভায় তিনি বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে আমরা রাজ্য বিধানসভায় রয়েছি । কিন্তু আজ বিরোধী দলনেতার আচরণ সমস্ত সংসদীয় সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে । কোনও আলোচনায় তিনি অংশগ্রহণ করেন না । এখানে এসে চিৎকার করা ছাড়া বিরোধী দলনেতার কোনও কাজ নেই । শুধুমাত্র প্রেসে মুখ দেখানোর জন্য তিনি এ সব করছেন । আর এ সব করে তিনি শুধু রাজ্যের শাসক দলকে অসম্মান করছেন না, নিজের দলকেও অসম্মান করছেন । নিজের দৈন্যতা প্রকাশ করছেন । আর তাই আমরা তাঁর এই আচরণের তীব্র ভাষায় নিন্দা করছি ।"
একইসঙ্গে এ দিন এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমরা সবাই এই বিধানসভার সদস্য । প্রত্যেকেই আমরা নিজেদের এলাকা থেকে জিতে এসেছি । আমাদের প্রত্যেকের আত্মসম্মান আছে । আমি একটা দল করি, তার নাম সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস । সেই দলের সততায় বিশ্বাস করি বলে এই দলটা করি । এখানে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা যখন বলেন, তৃণমূলের সবাই চোর, তখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদেরও চোর বলা হয় । এ কথা বলার অধিকার কি আদতে তাঁর আছে ? যাঁরা নিজেরা চোর হয় তাঁদের সবাইকে চোর মনে হয় ৷ এক্ষেত্রেও তাই । আমার কি এই অধিকার আছে বলার, যে মোদি খুনি, শাহ খুনি ! বিজেপির সবাই খুনি ! না সেই অধিকার আমার নেই । এটা বলার মনোবৃত্তিও আমার নেই । যেহেতু এই ঘটনায় বিধানসভার গরিমা নষ্ট হয়েছে, তাই এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাচ্ছি ।"