কলকাতা, 12 অক্টোবর: করোনাকালে দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল যান চলাচল । বন্ধ ছিল বাস পরিষেবাও । তবে তারপর সংক্রমণ মোকাবিলায় ভ্যাকসিন এসেছে বিশ্বজুড়ে ৷ জনজীবন ফিরেছে স্বাভাবিক ছন্দে (Private Buses Business)। আবারও বাস চালু হয়েছে এবং ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়েছে পরিষেবার সংখ্যা । তবে এরই মধ্যে বহু বার বেড়েছে জ্বালানির দাম । সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যন্ত্রাংশের দাম । অর্থের অভাবে জন্য বহু বাস মালিক সময় মত লাইসেন্স রোড ট্যাক্স সি ইফ-এর মত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের নবিকরণ করাতে পারেনি । তাই বিভিন্ন রুট থেকে উধাও হয়েছে বেসরকারি বাস । স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায় আবারও ঘুরে দাঁড়াতে বাস মালিকপক্ষ তাকিয়ে রয়েছে উৎসবের দিকে ।
অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "পুজোর ক'টা দিন ব্যবসা আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছিল বটেই । তবে বাসে যত যাত্রী হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ পায়ে হেঁটে ঠাকুর দেখেছেন । তবে উৎসবের সময় রাতের দিকেই ব্যবসা হয় বেশি । কারণ সারাদিনে অন্যান্য গাড়ির চাপ থাকলেও রাতের দিকে রাস্তায় বেশ কিছুটা পরিষ্কার হয়ে যায় । যানজটও তেমন একটা হয় না ।"
আরও পড়ুন:বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত পাহাড়, পর্যটকদের জন্য বিশেষ বাস এনবিএসটিসির
এই বিষয়ে সিটি সাব আর্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, "এই বছর দুর্গাপুজোর সময় প্রধান ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ দক্ষভাবে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল বলে বাসগুলো সঠিকভাবে চলাচল করতে পেরেছে । বাসস্টপে দাঁড়াতে পেরেছে ও যাত্রীরা বাসেও উঠতে পেরেছেন ।"
তিনি আরও বলেন, "গতবছর যেমন ভিআইপি রোডের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ থাকায় বাস চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল । কিন্তু এইবছর ভিআইপি রোড, বিটি রোড, ডায়মন্ড হারবার রোড, বজবজ রোডে বাস চলাচল করতে পেরেছে । তাই দক্ষিণেশ্বরগামী বাসগুলোর সুবিধা হয়েছিল । বাসে যাত্রীও হয়েছে । গত বছর পুজোয় 500 যাত্রীও পাওয়া যায়নি । তবে এই বছর সেই তুলনায় 800 থেকে 900-এর মতো যাত্রীও হয়েছে । পুজোর দিনগুলিতে স্বাভাবিক দিনে যা হয়, তার চেয়ে ব্যবসা বেড়েছিল প্রায় 30 শতাংশ । যেহেতু পুজোর ক'টা দিন আমরা রাতেও পরিষেবা দিয়েছিলাম, সেই ক্ষেত্রে আয়ও বেড়েছিল অনেকটাই । তবে পুজো শেষ হওয়ার পর থেকেই আবার সেই আগের চিত্র ফিরে এসেছে ।"
আরও পড়ুন:এসবিএসটিসির অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলনের 6 দিন, বিপাকে যাত্রীরা
যদিও জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পুজোর কটা দিন বাসে যাত্রীসংখ্যা ইতিবাচক থাকলেও তেলের আকাশছোঁয়া দামের জন্য যা আয় হয়েছে তার অনেকটাই তেলের পেছনেই খরচ হয়ে গিয়েছে । পরিস্থিতি এখন হয়তো অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক হয়নি । রাতের দিকে প্রচুর মানুষ গাড়ি করে ঠাকুর দেখেছেন আবার বহু মানুষ রাস্তায় হেঁটে ঠাকুর দেখেছেন । তাই জ্বালানি খরচ উঠবে না ভেবে রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা তেমন একটা ছিল না ।"