কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর: তৃণমূলের মনরেগা এক্সপ্রেস শনিবার সকাল আটটায় হাওড়া থেকে ছেড়ে যাবে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কলকাতামুখী 100 দিনের কর্মী থেকে শুরু করে বহু সাধারণ মানুষ। তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে দিল্লি যাচ্ছেন তারা। লক্ষ্য দাবি আদায় ৷ দীর্ঘদিন ধরে 100 দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বকেয়া টাকা উদ্ধার। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতায় এসে পৌঁছেছে কয়েক হাজার শ্রমজীবী মানুষ। দলের তরফে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। এদিন দুপুরে তাদের সমস্ত ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ঘুরে দেখলেন রাজ্যের শিল্প এবং নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
এদিন তিনি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছে সেখানে উপস্থিত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের সুবিধা অসুবিধার খোঁজখবর নেন। এবং সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "বাংলা থেকে বঞ্চিত গরীব মানুষরা আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জমায়েত হয়েছেন। এখানে কারা আছেন যারা 100 দিনের কাজ করেও গত দু'বছর ধরে টাকা পাচ্ছেন না, আছেন তারাও যারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটা আসলে বঞ্চিত গরীব মানুষের জমায়েত। তারা এবার দিল্লি যাচ্ছেন। কাল রাত থেকে বহু মানুষ কলকাতায় আসছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে আমরা দিল্লি যাচ্ছি। দাবি আদায়ে জোরদার লড়াই হবে।"
তিনি আরও বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের এই আন্দোলনকে ভয় পেয়েছে বিজেপি। সেই জন্যই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতে চাইছেন তারা।"
শুধু শশী পাঁজা নন, আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হাজির হন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখার সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। তিনিও এদিন বলেন, "একুশে জুলাই দিল্লির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। অতএব 2 এবং 3 অক্টোবর দিল্লিতে তৃণমূলের বড় কর্মসূচি গোটা দেশ জানে। আসলে ভয় পেয়েছে বিজেপি। তাই এই কর্মসূচির মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়ে এই আন্দোলনকে ভেস্তে দিতে চাইছে তারা। কিন্তু এভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না।"