কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি: দ্বিতীয় হুগলী সেতু (second Hooghly bridge)থেকে 25 মিনিট ঝুলে থাকার পর হঠাৎ গঙ্গাবক্ষে ঝাঁপ দিন উত্তরপ্রদেশের এক যুবক । জলে হাবুডুবু খাওয়া অবস্থায় অবশ্য পরে সে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় ৷ সোমবার সকালে এরকমই এক রুদ্ধশ্বাস ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা ৷
লালবাজার সূত্রের খবর, গোটা ঘটনা সূত্রপাত সোমবার সকাল 11টা 25 মিনিট নাগাদ ৷ এদিন কলকাতা পুলিশের সাউথ ডিভিশন থেকে লালবাজার কন্ট্রোল রুমে খবর আসে, দ্বিতীয় হুগলি সেতু অর্থাৎ বিদ্যাসাগর সেতুর ওপর দ্বিতীয় পাইলন-এর কাছে পথচারীদের জন্য বসান ব্যারিয়ারের বাইরের দিক থেকে ঝুলছেন এক যুবক । ঘটনাটি প্রথমে নজরে আসে লকাতা পুলিশের কর্মরত এক কনস্টেবলের । তিনি সাউথ ডিভিশন কন্ট্রোল রুমে বিষয়টি জানান । পরে সাউথ ডিভিশন কন্ট্রোল রুম থেকে সেই খবর চলে আসে লালবাজার কন্ট্রোল রুমে (man jumped from second Hooghly bridge) ।
ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী । খবর পেয়েই কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ, হেস্টিংস থানার আধিকারিকরাও সেখানে যান ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ ও পিসিআর-21 কর্মীরাও । দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের নীচে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা পুলিশের স্পিড বোট এমভি জয়শ্রী'কে। এরপর পুলিশ, ট্র্যাফিক পুলিশ, ডিএমজি শাখার কর্মীরা ওই ব্যক্তিকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করতে থাকেন ।
আরও পড়ুন: আরও জোরদার নিরাপত্তা, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সুরক্ষার দায়িত্বে টিম উইনার্স
কিন্তু 11টা 55 মিনিট নাগাদ কারও কথাতেই কান না দিয়ে আচমকাই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই যুবক । অবশ্য, সে ঝাঁপ দিতে পারে এই আশঙ্কা করে ঘটনাস্থলের কাছেই রাখা হয়েছিল স্পিডবো জয়শ্রী'কে । সঙ্গে সঙ্গে সেখানে সাঁতার কেটে চলে আসেন রিভার ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা । লালবাজার সূত্রের খবর তাঁদের মধ্যে ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সিপাই বিজয় বীর, মিন্টু পাল, জিতেন্দ্র নার্জিনারি ও উৎপল বিশ্বাস এবং সিভিক ভলান্টিয়ার সুমন রায় ৷ তাঁরা উদ্ধার করেন ওই ব্যক্তিকে ৷ পরে এমভি জয়শ্রী’তে করে ওই যুবককে উদ্ধার করে জেটিতে তোলা হয় । ততক্ষণে অবশ্য ওই যুবক যথেষ্ট নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল । তাঁকে হাসপাতালে পাঠান হয় । বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে । পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবক উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা । ইতিমধ্যেই ওই রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে লালবাজার । ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে ৷