কলকাতা, 2 জুলাই: বর্ষার শুরুতেও অল্প বৃষ্টি আর তীব্র গরমে দ্রুত বাড়ছে মশার প্রকোপ । বৃষ্টির পর বিভিন্ন পকেটে জল জমে থাকায় বর্তমান তাপমাত্রায় আদর্শ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে মশার ডিম পাড়ার । কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা 150-এর বেশি । যার মধ্যে শেষ কয়েক সপ্তাহে 50-এর বেশি শহরবাসী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন । অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রীতিমতো চিন্তায় কলকাতা পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ ।
বর্ষার শুরুতেই মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাবের জেরে গোটা পরিস্থিতির দিকে নজরদারি চালাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ । তৎপর করা হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ শাখাকে । ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগের কর্মীরা নিয়মিত বিভিন্ন এলাকায় মশার উৎসের সন্ধান চালাচ্ছেন । ফাঁকা জমি পরিষ্কার করার থেকে বন্ধ ঘর, বা ছাদে টব থেকে ফ্রিজের ট্রে - সব দিকে নজরদারি চালানো হচ্ছে ।
গত বছর ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালিয়ে একাধিক বহুতলের জলের ট্যাংকের ঢাকনা খোলা দেখা গিয়েছিল । সেগুলি নোটিশ দিয়ে বন্ধ করা হয় । নজরদারির পাশাপশি চলছে লিফলেট বিলি । এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, "আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছি । কোথায় ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলছে সেদিকেও দেখছি । যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি পাওয়া যাচ্ছে, সেই জায়গা চিহ্নিত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করছি । তবে পরিবেশ এমন যে, দ্রুত মশার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে । পরিষ্কার জমা জলে ডেঙ্গি মশা ও নোংরা জমা জলে ম্যালেরিয়ার মশা ডিম পাড়ছে । মূলত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি বছর জুলাই শেষের দিকে বাড়তে থাকে, যা অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর পিকে ওঠে । ফের তাপমাত্রা কমার সঙ্গে প্রকোপ কমে মশাবাহিত রোগের ।"
আরও পড়ুন:সাবধানবাণীতে হয়নি কাজ ! বাড়িতে মশার লার্ভা মিললেই লাখ টাকা জরিমানা
কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কলকাতার বেশকিছু ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে । সেখানে ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীরা কাজ করছেন নিয়মিত । এই সমস্ত জায়গাগুলি হলো টালিগঞ্জ, কসবা, যাদবপুর, খিদিরপুর, বেহালা, একবালপুর, গড়ফা, কসবা ও বাইপাস লাগোয়া দীর্ঘ এলাকা । উল্লেখ্য, করোনা চলাকালীন মানুষজন সচেতন থাকায় ডেঙ্গি প্রবণতা বেশ খানিকটা কম ছিল । তবে গত বছর অর্থাৎ 2022 সালে ডেঙ্গি ফের ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল । কলকাতায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন 65-67 হাজার মানুষ ৷