কলকাতা, 20 মার্চ: ফের কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল পুলিশ ৷ পাশাপাশি আদালতে স্বস্তি পেলেন রাজু বিস্তা ৷ বিতর্কিত টুইটের ক্ষেত্রে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না কলকাতা পুলিশ ৷ সোমবার সাংসদের দায়ের করা মামলায় এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর বেঞ্চ ৷
কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর পর এবার রাজু বিস্তা ৷ সম্প্রতি একের পর এক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা ৷ কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের (Kolkata Police) অতিসক্রিয়তা, আবার কোনও ক্ষেত্রে চূড়ান্ত নিষ্ক্রিয়তা ৷ পুলিশের এই আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট ৷ করোনাকালে দার্জিলিংয়ের সাংসদ 2020 সালের 1 এপ্রিল টুইট করে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) বিজেপি সাংসদ (BJP MP) অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ পিপিই কিট ও মাস্ক রাজ্যে পাঠালেও উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে ঠিক মতো তা পৌঁছয়নি। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর রাজু বিস্তার এই টুইট মিথ্যে অভিযোগ করে এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
অন্য়দিকে, এই টুইট দু'পক্ষের মধ্যে গোলমালে উস্কানি দিতে পারে দাবি করে ভারতীয় দণ্ডবিধির 153 ধারায় অভিযোগ দায়ের করে মামলা শুরু করে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের দায়ের করা সেই মামলা খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন করেছিলেন রাজু বিস্তা (Raju Bist) ৷ এদিন, মামলাটি গ্রহণ করে বিচারপতি বিবেক চৌধুরি রাজ্য সরকার-সহ সব পক্ষকে নোটিস পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে পুলিশ সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না। তবে তদন্তের স্বার্থে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ। এদিন হাইকোর্ট তার নির্দেশে স্পষ্টতই জানিয়েছে, সাংসদকে জেরা করতে হলে অবশ্য়ই আগে তাঁকে নোটিস পাঠাতে হবে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে বলে জানিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন:মহেশতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত 3
এর আগে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ইট, পাটকেল ছোঁড়ার ঘটনায় মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় টুইট করে বিহারের লোক ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তার সেই টুইট একটি সংবাদমাধ্যম রি-টুইট করায় বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ খারিজের দাবিতে ওই সংবাদ সংস্থা হাইকোর্টে মামলাও করে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপতি বিবেক চৌধুরি, মুখ্যমন্ত্রীর ওই টুইটে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে গোলমালের উপকরণ রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি আগামী শুনানিতে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলকে উপস্থিত থাকরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।