কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর:পাঁশকুড়ার কনকপুর মাদ্রাসায় 48 জন পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত । মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ । পরীক্ষা না দিতে পারা ছাত্র-ছাত্রীদের নাম ও ফোন নম্বর পাঠাতে হবে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরকে ৷ তার ভিত্তিতেই ওই পড়ুয়ার পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর ৷ মঙ্গলবার এমনটাি নির্দেশ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চের ।
এদিন বিচারপতি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ কি এতোটাই গরিব রাজ্য ? যেখানে 12 কিলোমিটারের মধ্যে কোনও মাদ্রাসা নেই?" এর আগে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ডোমা (ডিস্ট্রিক্ট অফিসার মাইনরিটি অ্যাফেয়ার্স) তথা জেলা সংখ্যালঘু আধিকারিক আদালতে জানিয়েছিলেন, নবম-দশম শ্রেণিতে কোনও ছাত্র-ছাত্রী নেই পূর্ব মেদিনীপুরের কনকপুর মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রে । এদিন বিচারপতি নির্দেশ দেন, ডিআই এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড 48জন ছাত্র ছাত্রীর নাম -ঠিকানা - ফোন নম্বর জমা দেবে কনকপুর মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্র। যাতে তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায় ৷ মাদ্রাসা বোর্ড সম্পূর্ণ বিষয়টি বিবেচনা করে, এই ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে।
যদিও মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রের আইনজীবীর দাবি, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁশকুড়া কনকপুর মাদ্রাসার অনুমোদন থাকলেও নবম-দশম শ্রেণিতে অনুমোদন ছাড়াই ভর্তি নেওয়া হতো । পরীক্ষার ব্যবস্থা হতো অন্যত্র । ওই শিক্ষা কেন্দ্রের আইনজীবীর আরও বক্তব্য, নবম-দশমের অ্যাফিলিয়েশনের জন্য একাধিক দফতরে আবেদন জানানো হলেও কোনও সুরাহা হয়নি । যে কারণে 48জন ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে ।