কলকাতা, ৫ জুলাই : 2010 সালের 6 জুলাই পথচলা শুরু হয়েছিল পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের। আগামীকাল দশ বছরে পদার্পণ করতে চলেছে মূলত সাঁওতালি ভাষায় উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলা এই বিশ্ববিদ্যালয়। কোরোনা সংক্রমণের জেরে বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে । তাই পঠনপাঠন ও শিক্ষা সংক্রান্ত নানা কাজের মতোই সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস অনলাইনে পালন হতে চলেছে ।
অনলাইনে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে চলেছে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় - সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর
আগামীকালের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে ঝাড়খণ্ডের সিধো-কানহো-মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সোনাঝরিয়া মিনজকে সম্মানিত করা হবে ।
এবিষয়ে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর বলেন, "এই পরিস্থিতিতে আমরা ভার্চুয়ালি প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের অনুষ্ঠান করব। বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, আধিকারিক, কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মোডেই মিলিত হব ।" আগামীকাল সকাল 11টায় প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের অনলাইন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ঝাড়খণ্ডের সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সোনাঝরিয়া মিনজ । উপাচার্য পদে তিনিই স্বাধীন ভারতের প্রথম আদিবাসী মহিলা । জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপিকা ছিলেন তিনি । আগামীকাল তাঁকে পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সন্মানিত করা হবে। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দু'জন প্রতিনিধি ঝাড়খণ্ডে রওনা দিয়েছেন।
ওই অনুষ্ঠানে "কোরোনা এপিডেমিক" নামে একটি বই প্রকাশ হতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে । এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, "কোরোনা ভাইরাস নিয়ে সারা রাজ্য, দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি চলছে সেটাকে কেন্দ্র করে আমরা একটি কম্পেন্ডিয়াম ভলিউম প্রকাশ করব। তার নাম দেওয়া হয়েছে কোরোনা আউটব্রেক।" কোরোনার উপর ন্যাচরাল সায়েন্স, সোশাল সায়েন্সের প্রায় 100 জন পড়ুয়া গত তিনমাস ধরে ডিজ়ার্টেশন পেপার তৈরি করেছেন। সেই ডিজ়ার্টেশন বা প্রজেক্টগুলির ফাইন্ডিংস রয়েছে এই বইটিতে। সাহিত্য এবং ভাষা বিভাগের পড়ুয়ারা কোরোনা ভাইরাসের উপর প্রবন্ধ লিখেছিলেন। তার মধ্যে সেরা দশটি প্রবন্ধ জায়গা পেয়েছে বইটিতে । পাশাপাশি প্রায় 40 জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকার কোরোনার উপর লেখা প্রবন্ধ বা গবেষণা স্থান পেয়েছে বইটিতে । গত তিনমাস ধরে লকডাউন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসন, এই দুটি দিক কীভাবে কাজ করেছে তারও বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়া কোরোনা পরিস্থিতিতে পঠনপাঠন, বিভিন্ন কমিউনিটি আউটরিচ প্রোগাম, আদিবাসীদের জন্য বহু উদ্যোগ, প্রশাসনিক দিক সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কাজ নিয়ে একটি 40 মিনিটের তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে । যা মুক্তি পাবে প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে।