কলকাতা, 27 জানুয়ারি: অমর্ত্য সেনের নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ! সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতেই শুক্রবার পালটা বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেই 'পাগল' বলে সম্বোধন করলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim slams Bidyut Chakraborty) ৷ এদিন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ওঁর মানসিক পরিস্থিতি ঠিক নেই ৷ আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীর এখনই ওঁকে বিশ্বভারতী থেকে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত !"
প্রসঙ্গত, জমি বিতর্কের জেরে অমর্ত্য সেন এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মধ্য়ে রীতিমতো কাজিয়া শুরু হয়েছে ৷ বিদ্যুতের দাবি, অমর্ত্য সেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বেআইনিভাবে বিশ্বভারতীর 13 ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন ৷ এই ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে প্রবীণ অর্থনীতিবিদকে বেনজির আক্রমণ করেছেন বিদ্যুৎ ৷ কখনও অমর্ত্য সেনকে দখলদার বলেছেন তিনি, আবার কখনও দাবি করেছেন, অমর্ত্য সেন নাকি নোবেল পুরস্কার পাননি !
আরও পড়ুন:জমি বিতর্কে জবাব অমর্ত্যের, আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে ফের চিঠি বিশ্বভারতীর
এক্ষেত্রে বিদ্যুতের নিজস্ব ব্যাখ্যা এবং যুক্তি রয়েছে ৷ বিষয় হল, নোবেল পুরস্কার যখন থেকে দেওয়া শুরু হয়, সেই সময় অর্থনীতি বিষয়টি নোবেল পুরস্কারের আওতাধীন ছিল না ৷ কিন্তু, পরবর্তীতে অর্থনীতিকেও এর আওতায় আনা হয় ৷ তাই এ নিয়ে দীর্ঘদিনের একটি তর্ক, বিতর্ক চলে আসছে ৷ ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের যুক্তি, যেহেতু প্রথম থেকে অর্থনীতিতে নোবেল দেওয়া হয় না, তাই অর্থনীতিবিদদের নোবেল পাওয়াটা সাহিত্যে বা শান্তিতে নোবেল পাওয়ার সমতুল্য নয় ! বিদ্যুৎ এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করে বলছেন, অমর্ত্য কোনও দিন নোবেল পাননি !
স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে ৷ এদিন ফিরহাদকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি পালটা বলেন, "বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মানসিকভাবে সুস্থ রয়েছেন কি না, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে ৷ তিনি শুধুমাত্র অমর্ত্য সেনকে অপমান করছেন না ৷ তিনি বাংলা তথা ভারতের অপমান করছেন ৷ আমার তো মনে হয়, বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কাছে ওঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার যত প্রমাণ ও শংসাপত্র রয়েছে, সেগুলি এবার যাচাই করে দেখার দরকার রয়েছে ৷"