কলকাতা, 9 নভেম্বর:পরিবেশবান্ধব বাজিতে 30-40 শতাংশ বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণ কম হবে বলে দাবি করছেন পরিবেশ বিজ্ঞানী ডা. স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী ৷ সেই কারণে এ বার দীপাবলিতে যতটা সম্ভব পরিবেশবান্ধব বাজির পোড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি ৷
শীতের শুরুতেই বায়ু দূষণের জেরে নাজেহাল দিল্লি । ধোঁয়া, ধুলোর চাদরে ঢেকেছে দেশের রাজধানী । মহানগরীতেও পারদ নামতে শুরু করায় বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়তে চলেছে । আর সামনেই দীপাবলি থেকে ছট, জগদ্ধাত্রী পুজোর মত একের পর এক উৎসবে ফাটবে বাজি । ফলে বাতাস ও শব্দ দূষণের মাত্রাও যে পাল্লা দিয়ে বাড়বে সেটা বলার অবকাশ রাখে না । কলকাতার বাতাসে ধূলিকণা ও গ্যাস, রাসায়নিকের যে মাত্রা সেটা এখনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সূচকের থেকে কয়েক গুণ উপরে । পিএম 10, পিএম 2.5 দুটোই । বেলা বাড়ার সঙ্গে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বাড়তে থাকে । মডারেট থেকে খারাপের দিকে যায় । সালফার ড্রাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড এগুলো বেশি । এই সময় গাড়ির ধোঁয়া ভয়ংকর । এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই আতশবাজি ফাটানোর ফলে দূষণ লাগামহীন হয়ে পড়ে । এবার আবার রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশকে 90 ডেসিবেল শব্দমাত্রা থেকে বাড়িয়ে 125 ডেসিবেল করা হয়েছে ।
এই প্রসঙ্গে পরিবেশ বিজ্ঞানী ডা. স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, "এই সময় আমাদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে । এই সময় উৎসবে বাজি ফাটালে পরিবেশবান্ধব বাজি বা যাকে সবুজ বাজি হিসেবেই বলা হয় সেই বাজি ফাটান । কিউআর কোড দেখে কিনুন । বেশ কিছু বিষয় আছে, সবুজ বাজির ক্ষেত্রে ধোঁয়ার সঙ্গে থাকা যৌগ বা ধূলিকণা খানিকটা কম সাধারণ বাজির তুলনায় । একইভাবে এ বছর শব্দমাত্রা 90 থেকে 125 ডেসিবেল হয়েছে । যেখানে সাধারণ বাজি ফাটালে শব্দমাত্রা 130-150 ডেসিবেল ওঠে, সেখানে সবুজ বাজি 100-120 ডেসিবেল শব্দের বেশি উৎপন্ন করে না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ।"