কলকাতা, 21 জুন :বর্ষাকাল মানেই জমা জলে মশার বংশবৃদ্ধি ৷ আর শহরজুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ ৷ যার জেরে প্রাণ হারান অনেকেই ৷ কিন্তু নিজেরা একটু সাবধান হলেই এই ডেঙ্গি থেকে বাঁচতে পারি আমরা (Doctors Advice to Prevent Dengue in Kolkata)৷ বর্ষাকালে ডেঙ্গি থেকে নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে একাধিক বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ৷
চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, "ডেঙ্গি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই । ভাইরাসটা মরে গেলে এমনি প্লেটলেটটা বেড়ে যায় । তবে কোভিডের সময় ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প হয়নি সেরকমভাবে । পাশাপাশি রক্তের দামও বেড়েছে । তাই নিজেদের সাবধানতা নিজেকেই নিতে হবে । বাড়ির মধ্যে ও আশেপাশে জল ও আগাছা জমতে দেওয়া যাবে না । মশার বংশবিস্তার রুখতে পারলেই ডেঙ্গি থেকে শহরকে রক্ষা করা যাবে ৷"
আরও পড়ুন :Dengue Prevention Campaign : পশ্চিম বর্ধমান-বীরভূম-বাঁকুড়াকে নিয়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধের প্রশিক্ষণ শিবির দুর্গাপুরে
চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কর পাল জানান, যদি জ্বর হয় তবে বাড়িতে না-থেকে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন । তবেই ডেঙ্গি রোখা যাবে । সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে । ডেঙ্গির মশা দিনের বেলা কামড়ায়, তাই সেদিকেও নজর দিতে হবে । মশারি ব্যবহার করতে হবে ৷
ডেঙ্গি রুখতে কী বলছেন চিকিৎসকরা ? অন্যদিকে, কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকেও ডেঙ্গি রুখতে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ব্যবস্থা । এক পৌর আধিকারিক জানিয়েছেন, ডেঙ্গির মশা শুধু বর্ষাকালে হয় তা নয়, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সবেতেই আমরা ডেঙ্গি রুখতে কাজ করে থাকি । এই ডেঙ্গির প্রধান বাহক এডিস মশা । সাতদিনের বেশি কোনও জায়গায় জল জমলে সেখানেই এই মশা বংশবিস্তার করে ।
ডেঙ্গি রুখতে ত্রিস্তরীয় কাজ করতে হয় আমাদের 16টি বোরোর ব়্যাপিড অ্যাকশন টিম 16টি সেন্ট্রাল ব়্যাপিড অ্যাকশন টিম মনিটরিং করে । 6-15 জন ফিল্ডে কাজ করে । এছাড়াও কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে ডেটা ব্যাঙ্ক । যেখানে ডেটা রাখা হবে কার বাড়িতে রয়েছে অপরিষ্কার কূপ বা নর্দমা, অথবা কোথাও মশার লার্ভা দেখা গেলেও তা নজরে রাখা হবে ।
আরও পড়ুন :Health meeting to control Dengue Malaria: শহরে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে শুরু হচ্ছে বরো ভিত্তিক বৈঠক