যাদবপুর, 8 এপ্রিল: ঘরের মেঝেতে স্ত্রীর দেহ, পাশেই ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহকর্তা ৷ শুক্রবার এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে যাদবপুর থানা এলাকার চিত্তরঞ্জন কলোনিতে ৷ ঘরের দরজা খুলে ঘরের ভিতরে ঢুকতেই পুলিশ এই দৃশ্য দেখতে পায় ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসা চালাতে না-পেরে তাঁকে হত্যা করেন স্বামী ৷ এরপর তিনিও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ৷ সদ্য কাজ হারিয়েছিলেন তিনি ৷ তাই স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ চালাতে পারছিলেন না ৷ তাই এই চূড়ান্ত পদক্ষেপ করলেন বলে মনে করছে পুলিশ ।
স্থানীয় যাদবপুর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে ৷ দেহ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ প্রাথমিক রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যাবে ৷ এদিন প্রৌঢ় দম্পতির এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় বারবার ফোন করেও কোনও সাড়া পাননি ৷ তাতেই তাঁর সন্দেহ হয় ৷ পরে তিনি প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পারেন, সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়েছে ৷ আরও পরে তিনি পুলিশে খবর দিলে রাতে সাড়ে দশটা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই দৃশ্য দেখতে পায় ৷ দরজাটি ভেজানো ছিল ৷ হালকা ধাক্কা দিতেই খুলে যায় বলে জানা গিয়েছে ৷
ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে বলে খবর ৷ পুলিশের অনুমান, গৃহকর্তা বৈদ্যনাথ প্রসাদ ওই সুইসাইড নোট নিজে লিখেছেন ৷ তাঁর বয়স 62 বছর ৷ তিনি আগে স্ত্রী (57) বছরের জলি প্রসাদের গলায় গামছা বেঁধে তাঁর শ্বাসরোধ করে খুন করেন ৷ পরে নিজেও আত্মঘাতী হন ৷ ওই সুইসাইড নোটে নিজেদের আর্থিক দুরবস্থার কথা লিখেছেন প্রৌঢ় বৈদ্যনাথ প্রসাদ । তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, আর্থিক সমস্যা কারণেই এমন পদক্ষেপ ৷