কলকাতা, 26 অক্টোবর : বিধানসভার অর্থ খরচ করে মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বিশেষ অধিবেশন ডাকায় শাসকদলের সমালোচনা করলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) । সোমবার সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলেন, "1 নভেম্বর থেকে বিশেষ অধিবেশন বসবে । শীতকালীন অধিবেশন হওয়ার সময় নয় এটা । কারণ তা আরও পরে হয় । তাহলে এই বিশেষ অধিবেশন কেন ? তাই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক ।"
এদিন তিনি আরও বলেন, "অধিবেশন ডাকার যে নিয়ম বা পদ্ধতি তা হল 15 দিনের নোটিস দেওয়া ৷ কিন্তু তা দেওয়া হয়নি । বিধানসভায় শাসকদলের বিধায়করা নিজেদের দলনেত্রীকে অভিনন্দন জানাবেন তা ভাল কথা, জানাতেই পারেন, তাতে কোনও অসুবিধা নেই । কিন্তু তার জন্য বিশেষ অধিবেশন কেন ? বিধানসভার টাকায় সরকারি খরচে দলনেত্রীকে অভিনন্দন কেন ? এর পিছনে বিশেষ কারণটি কী ? যিনি নির্দেশ দিয়েছেন এসব করার, তিনি হয়তো কারণটি বলতে পারবেন ৷ শুনলাম রাজ্যপাল নাকি এই অভিনন্দন জানানোর অধিবেশনে থাকবেন । এখন প্রশ্ন হল, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এসব কেন হবে ?"
একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন সুজন চক্রবর্তী আরও পড়ুন :Sujan Chakraborty: দুয়ারে রেশন নয়, দুয়ারে এখন বন্যা আর দুর্গতি : সুজন চক্রবর্তী
স্কুল-কলেজ খোলা নিয়েও এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব হন সুজন ৷ তাঁর কথায়, "16 নভেম্বর থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । আগে আমাদের রাজ্যের ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকরা এই বিষয়টি নিয়ে বারবার বলেছিলেন । তাহলে এতদিন কেন খোলা হয়নি ? কোভিডের সংক্রমণ যখন একটু কমল তখনও কেন খোলা হল না ? শিক্ষাঙ্গন ছাড়া অফিস, বাজার, ব্যবসা, উৎসব, সব খুলে গেল, বন্ধ রইল শুধু স্কুল ৷ এখন না খুললে তো উপায় ছিল না । সারা দেশে স্কুল-কলেজ খুলে গিয়েছে । স্কুল খুলবে তাও জানাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৷ কেন শিক্ষামন্ত্রক বলে কি এ রাজ্যে কিছু নেই ? অনলাইনে যে লেখাপড়া ভাল হয় না, তা না বোঝার কিছু নেই । সকলে বুঝতে পারছেন । শিক্ষাঙ্গন শেষমেশ খুললেও কোনও মডালিটি ঠিক করা হল না । অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে মডালিটি ঠিক করা প্রয়োজন । এই প্রায় দু'বছর ধরে অনলাইন পড়াশোনার মাধ্যমে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা কীভাবে মেটানো যায়, তার পথ বের করা জরুরি ।"
আরও পড়ুন :CPI(M) : বাংলাদেশের ঘটনার নিন্দা, হাসিনা সরকারকে কড়া ব্যবস্থার আর্জি সিপিআইএমের