কলকাতা, 16 অক্টোবর : শারোদৎসবের মধ্যে বাংলাদেশের মন্দিরে দুষ্কৃতী হামলার তীব্র নিন্দা করল সিপিএম পলিটব্যুরো। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত এক বার্তায় পলিটব্যুরোর তরফে বলা হয়েছে, 'শতাধিক বছর ধরে সম্প্রীতির আবহে শারদোৎসব পালিত হয়ে আসছে। মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে । এই ঐতিহ্য সবসময় বাংলাদেশ রক্ষা করে চলেছে। তাই পলিটব্যুরো আশা করছে সেই ঐতিহ্য রক্ষা এবং শক্তিশালী করা হবে। ধর্মীয় মৌলবাদ আমাদের অঞ্চলের বহু দেশের অন্যতম সমস্যা। বাংলাদেশ সরকারকে শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিষয়টির গুরুত্ব বিচার করে বাংলাদেশ সরকার পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছে। যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুলিশের গুলিতে ইতিমধ্যে চারজন দুষ্কৃতী মারা গিয়েছে। দেশজুড়ে বহু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই অবস্থার গুরুত্ব বিচার করে বাংলাদেশ সরকার যাতে আরও বেশি কড়া হাতে অবস্থা সামলায় তার আবেদন পলিটব্যুরো করেছে।'
আরও পড়ুন : Bangladesh Violence : নোয়াখালিতে ইসকন মন্দিরে হামলা, পুকুরে মিলল দেহ
সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও বাংলাদেশের এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, "বাংলাদেশে শারদোৎসব-এর সময়ে তো বটেই, সাম্প্রতিক বিভিন্ন সময়ে যেভাবে মৌলবাদী শক্তি বর্বরতার পরিচয় দিচ্ছে তার সমালোচনার ভাষা নেই। খুব বিপজ্জনক এটা। যুগ যুগ ধরে যে বাংলা সম্প্রীতির কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হয়েছে ৷ একটা নতুন চেতনার মানসিকতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ চলছেন। সেখানে গত কয়েকদিন যে ঘটনা ঘটেছে, শারদোৎসব-এর প্রাঙ্গণ কলুষিত করা হল, প্যান্ডেল আক্রান্ত হল, মানুষ আক্রান্ত হল সবাই দেখতে পাচ্ছেন। এটা শুধু ধর্মের উপর আঘাত নয়, এটা মানবতার বিরুদ্ধে আঘাত। এই মৌলবাদী শক্তি এপারে হোক বা ওপারে হোক, এই ধর্মের হোক বা ওই ধর্মের মৌলবাদের কোনও জাত ধর্ম থাকে না। তারা মৌলবাদী শক্তি মানবতার বিরোধী । তারা মানুষের সর্বনাশ করতে চায়।"
সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও বাংলাদেশের এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ইসকনে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে কলকাতার ইসকনে মন্দিরেও। কলকাতা ইসকনের পক্ষে রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, তাঁরা আশা করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে কড়া ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করবেন ৷