কলকাতা, 27 নভেম্বর: শহরে ঘটে চলা নানা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা (Role of Police) নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷ আর তা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি ৷ এমনকী অনেকক্ষেত্রে অভিযোগও উঠেছে সরাসরি পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ৷
একের পর এক সামনে এসেছে সেরকম অনেক ঘটনা ৷ সে আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীর (Job Seekers Protest) হাতে মহিলা পুলিশ কর্মীর কামড়ের অভিযোগ হোক বা বকেয়া ডিএ (DA) আদায়কে কেন্দ্র করে বিক্ষোভরত সরকারি কর্মচারীদের ওপর পুলিশের বলপ্রয়োগের অভিযোগ, সবক্ষেত্রেই বারবার কাঠগড়ায় কলকাতা পুলিশ ৷
এবার এসব নিয়েই মুখ খুললেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল (Commissioner of Kolkata Police Vineet Goyal) । বেহালায় কলকাতা পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিনীত গোয়েল বলেন, "এই ঘটনাগুলিতে একজন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে তদন্ত চলছে । তদন্তে দোষী প্রমাণ হলে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে । আমাদের পুলিশ কর্মীর কোনও ভুল ত্রুটি থাকলে বা দোষ থাকলে আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পিছপা হই না ।"
উল্লেখ্য, চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে শহর কলকাতা । আর এরই মাঝে অরুণিমা পাল নামে একজন চাকরি প্রার্থীর হাতে প্রকাশ্যে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ডিসি সাউথের ট্যাগ টিমের মহিলা কনস্টেবল ইভা থাপার বিরুদ্ধে । যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে । এরপরই কলকাতা পুলিশের নির্দেশে অভিযুক্ত কনস্টেবল ইভা থাপাকে ডেকে পাঠায় ডিসি সাউথ (টু) ।
সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের মহিলা কনস্টেবল ইভা থাপার বয়ান নথিভুক্ত করেন তদন্তকারীরা এবং ঘটনার দিন সঠিক কী হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করা হয় তাঁর কাছ থেকে । এর পাশাপাশি চলতি সপ্তাহে অভিযোগকারী আন্দোলনকারী অরুণিমা পালকেও ডেকে পাঠানো হয় ডিসি(সাউথ-টু) এর অফিসে ।
আরও পড়ুন:ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীরা কীভাবে পৌঁছলেন বিধানসভার গেটে, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা
প্রসঙ্গত, এছাড়াও চলতি সপ্তাহে বকেয়া ডিএ-কে কেন্দ্র করে আন্দোলনের ডাক দেয় সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠন । সেখানেই লালবাজারের (Lalbazar) একজন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী এক ব্যক্তিকে পেটে ঘুষি মারার অভিযোগ ওঠে । প্রথমে চাকরি প্রার্থীর হাতে কামড় এবং পরে ডিএকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারী ব্যক্তিকে ঘুষি মারার ঘটনায় প্রবল নিন্দার সম্মুখীন হতে হয় কলকাতা পুলিশকে । এর পরেই দুটি মামলাতেই একজন ডেপুটি কমিশনারের নেতৃত্বে তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে ।