পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Cattle Smuggling Case: এনামুলের নজর ছিল বোল্ডারে, সিবিআইয়ের হাতে বেশ কয়েকজন বিএসএফ কর্মীর নাম - এনামুল হক

এনামুল হকের নজর থাকত বিশেষ প্রজাতির গরু বোল্ডারে ৷ তিনি জেরায় সিবিআইয়ের হাতে বেশ কয়েকজন বিএসএফ কর্মীর নাম তুলে দিয়েছেন ৷

Enamul Haque
Enamul Haque

By

Published : May 8, 2023, 6:55 PM IST

কলকাতা, 8 মে:গরু পাচারের সন্দেহে ধৃত ব্যবসায়ী এনামুল হককে জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । এনামুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন যে, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে বিশেষ প্রজাতির গরু আনা হত এনামুলের জন্য । এই বিশেষ প্রজাতির গরুর নাম 'বোল্ডার'। মূলত এই গরু বীরভূমের দুবরাজপুর, ইলামবাজার এবং মুর্শিদাবাদের কয়েকটি গরুর হাটে নিয়ে আসা হত । এই বিশেষ প্রজাতির গরু আনা হলেই ছোটখাটো গরু মাফিয়ারা খবর দিয়ে দিত এনামুলের অফিসে । এরপর এনামুলের কর্মীরা সেটিং করার কাজ শুরু করে দিতেন ।

জেরায় এনামুল হক তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, সীমান্ত পার করার জন্য বেশ কয়েকজন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সাহায্য তিনি পেতেন । ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের কাছে বিএসএফ-এর বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নাম বলেছেন এনামুল । তবে কেন এই বিশেষ প্রজাতির গরুর প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ ছিল এনামুল হকের ?

জবাবে এনামুল হক সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন যে, মূলত পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ থেকে এই বোল্ডার প্রজাতির গরু এলে নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতেন তিনি ৷ বিভিন্ন গরু ব্যবসায়ীদের থেকে 45 হাজার থেকে 50 হাজার টাকার বিনিময়ে এই বোল্ডার প্রজাতির গরু কিনে নিতেন এনামুল । এরপরে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকজন আধিকারিক এনামুল হকের সঙ্গে টাকার লেনদেন করে, দায়িত্ব নিয়ে রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পার করে এই প্রজাতির গরু পাচার করে দিতেন বাংলাদেশে ।

প্রায় লাখখানেক টাকা লাভ রেখেই এই গরুগুলি বাংলাদেশের উদ্দেশে পাচার করতেন এনামুল হক । তবে এই গরুগুলি পাচারের জন্য বিএসএফ-এর বেশ কয়েকজন আধিকারিকের হাতে তুলে দিতে হত মোটা অংকের কমিশন । ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর নজরে এসেছে বেশ কয়েকজন বিএসএফ আধিকারিকের নাম । তাঁদের সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ খোঁজখবর করতে শুরু করে দিয়েছে সিবিআই ।

গরু পাচারের সন্দেহে এনামুল হককে আগেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই । তাঁর সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের একটি যোগাযোগের সূত্রও খুঁজে পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । এনামুল হক গ্রেফতার হওয়ার পরপর বীরভূমে তাঁর নামে বেশকিছু জমি ও বাড়ির হদিশ পান তদন্তকারীরা । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই জমি বাড়িগুলি 2017 সালে বাজারদর থেকে অনেক কম দরে হস্তান্তর করেছিলেন এনামুল হক । তদন্তকারীদের অনুমান, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে গরু পাচারের ব্যবসা চালানোর দৌলতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতেন এনামুল হক ৷ আর সেই কারণেই বীরভূমের মতো জায়গায় বাজারদর থেকে অনেক কম মূল্যে জমি আত্মসাৎ করেছিলেন তিনি ।

আরও পড়ুন:গরুপাচার দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে এনামুল-সায়গলের মুখোমুখি বসিয়ে অনুব্রতকে জেরার পরিকল্পনা ইডির

ABOUT THE AUTHOR

...view details