কলকাতা, 5 মে: গরুপাচার কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরের পেশ করা চার্জশিটে বিএসএফের নাম উঠে এল ৷ সরাসরি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একাংশের বিরুদ্ধে গরুপাচারে মদতের অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ ইডির পেশ করা চার্জশিটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, গরুপাচারকারীদের সঙ্গে বিএসএফ-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি যোগসাজশ গড়ে উঠেছিল ৷ জানা গিয়েছে, রাত 11টা থেকে ভোর 3টে পর্যন্ত সীমান্ত খুলে কার্যত খুলে দেওয়া হত যাতে সহজেই গরুপাচার করা যায় ৷
চার্জশিটে এও স্পষ্ট করা হয়েছে, বিএসএফের আধিকারিকদের একাংশের সঙ্গে আব্দুল লতিফ, এনামুল হকের মতো একাধিক গরুপাচারের মাথাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ৷ এমনকী পাচারকারী এবং গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বিএসএফের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরও ৷ আর তাঁরা মাঝে মধ্যেই বৈঠক করতেন বলেও চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি ৷ এই বৈঠকগুলিতেই গরুপাচার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হত দু’তরফে ৷
ইডি সূত্রে খবর, মূলত কোন কোন গেট দিয়ে রাতের অন্ধকারে গরু পাচার করা হবে তার বিস্তারিত তথ্য আগে থেকেই জানা থাকত ৷ আর সেই মতো বিএসএফ আধিকারিকদের নির্দেশে সীমান্তের গেট খুলে দেওয়া হত ৷ সেখান দিয়ে বিনা বাধায় গরুপাচার চলত ৷ মূলত, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম-সহ কয়েকটি জেলার সীমান্তে বিএসএফ-এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরের চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ৷