কলকাতা, 31 মার্চ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ক্লার্ক। তাঁর নাম অর্ণব বসু। আজ সকাল সাড়ে 11 টার মধ্যে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি অফিসে অর্ণব বসুকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। যদিও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অর্ণব বসু এখনও পর্যন্ত সিজিও কমপ্লেক্সে আসেননি।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অর্ণব বসুর ফ্ল্যাট এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে একাধিকবার তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে বেশ কিছু কম্পিউটার, ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভ-সহ, বেশ কিছু দলিল-দস্তাবেজ বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই অর্ণব বসুর যোগাযোগ আরও স্পষ্ট হয় তদন্তকারীদের কাছে। মূলত অর্ণব বসুর ফ্ল্যাট থেকে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যে সকল জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল সেখান থেকে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি এমনকী মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
একাধিক সময় মানিক ভট্টাচার্যের তরফ থেকে আসত বিভিন্ন নির্দেশ। বিভিন্ন বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রী তথ্য প্রমাণ ঘেঁটে তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন যে বিভিন্ন প্রভাবশালীর কাছ থেকে নির্দেশ আসার পরে এই অর্ণব বসু নিজে ইমেল মারফত বিভিন্ন জায়গায় খবরাখবর পাঠাতেন। পাশাপাশি কোন ব্যক্তির কাছ থেকে কত টাকা নিতে হবে এবং কোন চাকরিপ্রার্থীর কত টাকা বকেয়া রয়েছে সেই বিষয়েও দেখভাল করতেন অর্ণব বসু। অর্থাৎ বলাই যায় যে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একজন ক্লার্ক হয়েও বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল তাঁর।
আরও পড়ুন:বলাগড়ের বাড়িতে মিলল হার্ডডিস্ক, রিসর্টে শান্তনু ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ ইডির
তাঁদের নির্দেশেই বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করতেন অর্ণব বসু এমনটাই প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন ইডির তদন্তকারীরা। যদিও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা মনে করছেন যে অর্ণব বসুর সঙ্গে সরাসরি কথা বললে আরও অনেক তথ্য সামনে আসতে পারে। মূলত অর্ণব বসুর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে যে তিনি এই সকল প্রভাবশালীদের সংস্পর্শে কীভাবে এলেন? সূত্রের খবর, অর্ণব প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাকাউন্টস বিভাগে চাকরি করেন। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি খতিয়ে দেখার পর তাঁকে তদন্তে ডাকা হতে পারে জানা যাচ্ছে।