কলকাতা, 21 মার্চ : আশঙ্কাটাই কি সত্যি প্রমাণিত হতে চলেছে ? কলকাতায় চতুর্থ কোরোনা আক্রান্তের খবর সামনে আসার পরই এই প্রশ্ন যেন আরও তীব্র হতে শুরু করল ৷ প্রশ্নটা, তাহলে কি ছড়াতে শুরু করেছে কোরোনা ভাইরাস ?
বিদেশে না গিয়েও কোরোনা ! কলকাতায় চতুর্থ খবর মিলতেই সম্প্রসারণের আশঙ্কা - coronavirus treatment
19:50 March 21
আজ সন্ধ্যায় কলকাতায় চতুর্থ কোরোনা আক্রান্ত রোগীর খবর মেলে ৷ বছর 57-র এই ব্যক্তি শহরের এক নামজাদা বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ৷
আজ সন্ধ্যায় কলকাতায় চতুর্থ কোরোনা আক্রান্ত রোগীর খবর মেলে ৷ বছর 57-র এই ব্যক্তি শহরের এক নামজাদা বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ৷ একইদিনে কলকাতায় দু'টি কোরোনা আক্রান্তের খবর সামনে আসায় রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে মহানগরীতে ৷ চতুর্থ খবর সামনে আসার পর সবথেকে বড় যেটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তা হল, এই মানুষটি কোনওদিনই বিদেশ সফর করেননি ৷ এতদিন, এর আগে যে তিনটি খবর কলকাতা থেকে পাওয়া গিয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই সদ্য বিদেশ থেকে সফর করে ফিরেছিলেন ৷ তারপরই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ, বিদেশ থেকে ফিরলেই কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশিকা জারি করেছিলেন ৷
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, 13 মার্চ থেকে জ্বর আসে দমদমের বাসিন্দা 57 বছরের এই প্রৌঢ়র । ১৬ মার্চ সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন । চিকিৎসকরা সর্বক্ষণ তাঁর পরীক্ষা করছেন ৷ কলকাতার SSKM হাসপাতালে সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার পরই তাঁর শরীরে COVID -19 জীবাণু পাওয়া যায় ৷ ওই ব্যক্তির লালারসের নমুনা আগেই পাঠানো হয়েছিল SSKM হাসপাতাল এবং নাইসেডে । দু’টি জায়গার পরীক্ষাতে আলাদা আলাদা রিপোর্ট আসে । তারপর ফের নাইসেডে পাঠানো হয় লালরস । তারপরই জানা যায়, ওই ব্যক্তি COVID-19 ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন । রাতে রিপোর্ট আসার পর জানা যায়, ওই ব্যক্তি কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে । হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে । যে সকল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ওই ব্যক্তির চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের ক্ষেত্রেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । রেলে কর্মরত ওই প্রৌঢ় ভেন্টিলেশনে রয়েছেন ৷
এদিন রাতে চতুর্থ কোরোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলার পরই আতঙ্কের মাত্রা যেন বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে ৷ কারণ, চিকিৎসকদের এক পক্ষ ইতিমধ্যেই সন্দেহ প্রকাশ করে ফেলেছেন, কোরোনার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা ছিল, কোরোনার সম্প্রসারণ-সংক্রমণ রুখতে যেকোনও ধরনের জমায়েত বন্ধ করার ৷ এবং মানুষে-মানুষে কথা বলার সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার ৷ যেভাবে প্রথম দু'জন আক্রান্ত যুবকের অসেচতনভাবে ঘোরাঘুরির খবর সামনে এসেছে, তারপরই এই জীবাণু ভাইরাস সম্প্রসারণের বিষয়টি তীব্র হতে শুরু করেছে ৷
চতুর্থ ব্যক্তি বিদেশ সফর বা সাম্প্রতিক অতীতে ভিন রাজ্যে না যাওয়ার খবর তেমন না থাকায় কীভাবে তাঁর দেহে কোরোনার ভাইরাস বাসা বাঁধল তা ঘিরেই শুরু হয়েছে আতঙ্ক ৷ চিকিৎসকদের একাংশ ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কোরোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে ৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কিছু নির্দেশিকা বা ঘোষণা না এলেও আতঙ্ক যে বাড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷