ঝাড়গ্রাম, 17 এপ্রিল:প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত অলচিকি হরফেই পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করতে হবে ৷ আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য গঠন করতে হবে আলাদা শিক্ষা বোর্ড ৷ এমনই ছ'দফা দাবিকে সামনে রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝাড়গ্রামে জেলাশাসকের কার্যালয়ের মূল ফটক ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করলেন 'ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল'-এর সদস্যরা ৷ তাঁদের সাফ কথা, প্রশাসন তাঁদের দাবিদাওয়া না মানলে আন্দোলনের বহর আরও বাড়বে ৷ আদিবাসীদের এই কর্মসূচির জেরে সোমবার জেলাশাসকের দফতরে যাবতীয় কাজ বন্ধ হয়ে যায় ৷ উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের কার্যালয়ের মধ্যেই রয়েছে মহকুমাশাসক এবং পরিবহণ দফতরের কার্যালয় ৷ এদিন সেসব বন্ধ ছিল ৷ জেলাশাসকের কার্যালয়ের মূল ফটকে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের পতাকা ও ব্য়ানার টাঙিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা ৷ যদিও বেলা 11টা নাগাদ জেলাশাসক সুনীল কুমার আগরওয়াল তাঁর দফতরে পৌঁছলে তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় ৷
এদিনের এই কর্মসূচি থেকে কুড়মি আন্দোলন নিয়ে কিছু অভিযোগ শোনা যায় আদিবাসীদের গলায় ৷ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতা বিভীষণ হাঁসদার বক্তব্য হল, কুড়মিরা অ-আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত ৷ তাঁরা অন্য়ান্য পিছিয়ে পড়া জনজাতি বা ওবিসি সংরক্ষণের আওতাধীন ৷ কিন্তু, এখন তাঁরা আদিবাসীদের মতোই তফশিলি উপজাতির আওতায় সংরক্ষিত হতে চাইছেন ৷ এই দাবি পূরণ করা হলে আদিবাসীরা তাঁদের ন্যায্য বহু প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিভীষণ ৷ তিনি জানিয়েছেন, সরকার বা প্রশাসন যদি কুড়মিদের দাবি মেনে নেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে পালটা আন্দোলন হবে ৷